ক্যারিয়ার ধ্বংসের জন্য দায়ী চ্যাপেল, কী বলছেন ইরফান

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  ইরফান পাঠান ভারতের হয়ে সবশেষ ম্যাচ খেলেন ২০১২ সালে। মাত্র ২৭ বছর বয়সে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার কার্যত শেষ হওয়ার পেছনে ভারতের সাবেক কোচ অস্ট্রেলিয়া কিংবদন্তি গ্রেগ চ্যাপেলকে দায়ী করেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। যদিও অবসর ঘোষণার পর তা মানতে নারাজ ভারতীয় এই বাঁহাতি পেসার।

২০০৩ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে ভারতীয় দলে সুযোগ পান ইরফান। এরপর দাপটের সঙ্গেই খেলে যান। ২০০৫ সালে জন রাইটের পরিবর্তে টিম ইন্ডিয়ার কোচ হন অজি লিজেন্ড চ্যাপেল। ওই সময় বোলার ইরফানের হাতে ব্যাট ধরিয়ে দিতে দেখা যায়। কখনো উদ্বোধনী কখনও মিডলঅর্ডারে ব্যাট করতে পাঠানো হতে এই বোলারকে। অনেকের দাবি, চ্যাপেলের পরামর্শমত ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করতে গিয়েই বোলিংয়ের লাইন-লেন্থ হারিয়ে ফেলেন ইরফান।

এরপর ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক আঙিনা থেকে ইরফানের ছিটকে যাওয়ার জন্য সেই চ্যাপেলকেই দায়ী করেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। তবে নিজের খেলোয়াড়ি জীবন নষ্ট হওয়ার জন্য কোচকে দোষারোপ করেন না সুইং মাস্টার। অলরাউন্ডারের ভূমিকা পালন করতে গিয়ে বলের লেন্থ ও সুইং ভুলে গিয়েছিলেন, তেমনটাও মনে করেন না ইরফান।

তার পতনের জন্য চ্যাপেলকে দায়ী করা, সত্যকে গোপন করা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে জানান ইরফান। দাবি করেন এখনও বল সুইংসহ সঠিক জায়গায় ফেলতে পারেন তিনি।

মাত্র ২৭ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হয় ইরফানের। ২০১২ সালে ভারতের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেন তিনি। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে মেন ইন ব্লুদের সাবেক তারকা বলেন, ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনেকে ২৭ কিংবা ২৮ বছর বয়সে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। কিন্তু তাকে সেই বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলতে হয়েছে। এজন্য তার মনে আক্ষেপ রয়েছে বলে স্বীকার করেন ইরফান।

২০০৮ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ইরফানের নৈপুন্যে ম্যাচ জেতে ভারত। তবু তাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়া হয়। দল জেতার পরও কোনো ক্রিকেটারকে বাদ দেয়ার দৃষ্টান্ত আর আছে কি না, তা জানা নেই বাঁহাতি এই পেসারের।

উল্লেখ্য, ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই তারকা শনিবার সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তাকে ভারতীয় জার্সিতে দেখা যাচ্ছিল না। এ পর্যন্ত ২৯ টেস্ট খেলে ১০০ উইকেট পান, ১২০ ওয়ানডে খেলে ১৭৩ উইকেট ঝুলিতে ভরেন এ সিমার।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর