আগামীতে উন্নয়ন চলে যাবে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের হাতে: পরিকল্পনামন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, ৮০-র দশকে উন্নয়ন ছিল এনজিও ওরিয়েন্টেড। এখন উন্নয়ন চলে এসেছে সরকারের কাছে। আগামীতে উন্নয়ন চলে যাবে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের হাতে।

সরকার অনেক অবকাঠামো তৈরি করছে যেগুলোর বিষয়ে রিপোর্ট সংবাদমাধ্যমে আসছে। এসব অবকাঠামোর সুফল ভোগ করে বেসরকারি খাত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি)’-এর দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন-২০২০ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে শুক্রবার এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, বিএফইউজের সহসভাপতি ও জিটিভি সারাবাংলার এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, পরিকল্পনা সচিব মো. নুরুল আমিন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।

ডিজেএফবির সভাপতি হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন এএফপির ব্যুরো চিফ ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার শফিকুল আলম।

মন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিকরা এমন একটি সংগঠন ৮০-র দশকে শুরু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি। এখন এমন একটি সংগঠনের জন্ম হওয়া সত্যিই আনন্দের।

আমি আশা করি, এ সংগঠনের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন হবে। আমরা আপনাদের স্বাগত জানাই এ চত্বরে। আমাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

আপনারা একটা বসার জায়গা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, আমরা এ বিষয়ে দেখছি। আমরা চাই আপনারা সুন্দরভাবে বসে আপনাদের কাজ করতে পারছেন। কারণ আপনাদের কাজের মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হবে। আপনাদের সঙ্গে বারবার দেখা হবে। আপনাদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান হবে।

সাইফুল আলম বলেন, অনেক সংগঠন আছে। আমাদের দেখতে হবে আমরা কতটুকু পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে পারছি। আমাদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে। আমি আশা করব, এ সংগঠনের মাধ্যমে একটি সুন্দর মেসেজ যাবে। আপনারা যে সাহস নিয়ে এত সুন্দরভাবে একসঙ্গে মিলিত হয়েছেন, এটা প্রশংসিত হয়েছে। সদস্যরা নিজেরাই টাকা দিয়ে অনুষ্ঠান করেছেন। এটা সত্যিই গর্বের জায়গা তৈরি করেছে। এখন পুঁজির চাপ, সন্ত্রাসীর চাপ, পেশিশক্তির চাপ, জঙ্গিবাদের চাপ ও রাজনৈতিক চাপ রয়েছে।

তারপর যদি আমরা নিজেরাই চাপ গ্রহণ করি তাহলে পেশার আর থাকলটা কি? যদি অন্যের কাছ থেকে সহযোগিতা নেয়া হয় তাহলে তার যদি নৈতিক স্খলন ঘটে তাহলে লেখাটা কি সম্ভব?

সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, আপনারা যে বুক ফুলিয়ে এমন সংগঠন করেছেন এটা আমার ভালো লেগেছে। আমরা ৮০-র দশকে শুরু করতে চেয়েছিলাম, পারিনি। আপনারা সংগঠিত হয়েছেন, এতে আপনাদের পেশাগত দক্ষতা আরও বাড়বে।

ড. শামসুল আলম বলেন, সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে সত্যিকার সাংবাদিকতা করতে হবে। সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, এমন একটি সংগঠন এ চত্বরে বিকাশ লাভ করেছে দেখে আনন্দিত হয়েছি।

আমরা সাধ্যমতো সহায়তা করব। নূরুল আমিন বলেন, যা সত্যি তাই লিখতে হবে। কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে মনোমালিন্য হলে তার বিরুদ্ধে লিখতে হবে, বিষয়টি যেন এমন না হয়।

নির্বাচিত হলেন যারা : ডিজেএফবির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন হুমায়ুন কবীর (ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস), সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান (কালের কণ্ঠ), সহসভাপতি হামিদ-উজ-জামান (যুগান্তর), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন আবদুল্লাহ (দেশ রূপান্তর), সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুল সাদিক (বাংলানিউজ), অর্থ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (বিজনেস স্টান্ডার্ড), দফতর সম্পাদক হাসিবুল হাসান (রাইজিং বিডি), প্রচার ও গবেষণা সম্পাদক সাইদ রিপন (আমাদের অর্থনীতি), কার্যকরী সদস্য- জহির রায়হান (ঢাকা টাইমস), সুশান্ত সিনহা (যমুনা টিভি) ও আবু সাইম (আলোকিত বাংলাদেশ)।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর