ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে বড় কথা ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো: প্রধানমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা যতই ব্যবসা-বাণিজ্য করি, তার চেয়ে বড় কথা আমাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে আমরা রপ্তানি করবো। কিন্তু সেই রপ্তানি আরও অধিক দেশে করতে চাই। সবথেকে অগ্রাধিকার দিতে চাই প্রতিবেশী দেশগুলোকে। সেজন্য আমাদের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে সমঝোতা স্মারক করেছি। এছাড়া দেশে যাতে বিনিয়োগ আসে, সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি।’

বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এটি বাণিজ্য মেলার ২৫তম আসর। ৩২ একর জমির ওপর নতুন রূপে সাজানো হয়েছে এবারের বাণিজ্য মেলা।

মেলার প্রধান গেট সাজানো হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে, সঙ্গে থাকবে পদ্মা সেতুর মডেল। মেলায় আগত দেশি-বিদেশি অংশগ্রহণকারী এবং দর্শনার্থীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। খোলামেলা পরিসরে গত বছরের তুলনায় এবার স্টলের সংখ্যা কমানো হয়েছে।

গত বছর মোট ৬৩০টি ছোট-বড় স্টল ছিল। এবার তা কমিয়ে করা হয়েছে ৪৮৩টি। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভেলিয়ন ১১২টি, মিনি প্যাভেলিয়ন ১২৮টি এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল ২৪৩টি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি দেশকে যদি উন্নত করতে হয়, তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, মানুষকে কর্মক্ষম করা, প্রশিক্ষণ দেওয়া, তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলা এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত সুবিধা সৃষ্টি করা একান্তভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যখন দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করলাম, তখন সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ আজ সেই মন্দা কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের রপ্তানিও ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। ৮.১৫ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন বৃদ্ধি করে যাচ্ছি। দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ থেকে ২০.৫ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বেশি সুবিধা দিচ্ছি। বিনিয়োগকারীদের জন্য দেশে ১২টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমরা দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জায়গা করে দিতে চাই। দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, কৃষি জমি সুরক্ষা এবং শিল্পায়নের জন্যই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে। এর কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু হলে আমাদের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেন অধিক পরিমাণে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে পারি সেদিকে নজর দিচ্ছি। আইসিটিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। যত বেশি ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানি করতে পারবো, দেশ তত বেশি উন্নত হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সবদিক থেকেই যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে দিচ্ছি। পূর্বাচলে আমরা নতুন জায়গায় বাণিজ্য কেন্দ্র করে দিচ্ছি। আমি আশা করি আগামী বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলে করতে পারবো। বাণিজ্য মেলা ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য একটা বড় ভূমিকা পালন করবে। এই মেলা আমাদের আরও উন্নয়নের পথ খুলে দেবে।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর