শতভাগ সফল শেখ হাসিনা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শেখ হাসিনা রাজনীতির এক উজ্বল নক্ষত্র। সুচিন্তিত নেতৃত্ব এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন জনগণের আস্থার প্রতীক। অনন্য, অসাধারণ শেখ হাসিনা গোটা বাংলাদেশের সকলের অভিভাবকের স্থানে অধিষ্ঠিত। তিনি বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে আসীন। হাজারো সংকট ও সমস্যার সমাধানের নাম যেন শেখ হাসিনা। চারবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড গড়ে টানা তিনবার সরকার গঠন করে এগারো বছর ধরে দেশের কান্ডারির দায়িত্ব পালন করছেন। মন্ত্রিসভা গঠন এবং জাতীয় কাউন্সিলের পর কমিটি গঠনে মুন্সিয়ানা দেখিয়ে ‘চমক’ সৃষ্টি করেছেন। সরকার পরিচালনার পাশাপাশি বিরোধী দলের রাজনৈতিক আন্দোলন, অরাজনৈতিক আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু দক্ষতার সাথে মোকবেলায় শতভাগ সফল শেখ হাসিনা। কোটাবিরোধী আন্দোলন, কমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, পাস্তুরিত দুধের ভেজাল নিয়ে বিতর্ক, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি, রাজাকারের তালিকা নিয়ে সমালোচনাসহ সকল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক বিষয়ে এককভাবে সমাধান দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। রোহিঙ্গা ইস্যু মোকাবেলার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে ভারসাম্য রক্ষায় অনবদ্য ভূমিকা রাখছেন শেখ হাসিনা। এর আগে বিগত দিনে বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচী, হেফাজতের মহাসমাবেশের মত রাজনৈতিক আন্দোলন খুবই দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করে বাংলাদেশের রাজনীতি ছাপিয়ে বিশ্ব রাজনীতির একজন মডেল নেতৃত্ব হয়ে গেছেন। যে আলেম সমাজ তার বিরোধিতা করতেন তারাও এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সারথি।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ ও সরকারের ২০১৯ সালের বিশ্লেষণ করে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্ণেল (অব.) ফারুক খান ইনকিলাবকে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত এগারো বছরে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশ একটি উদীয়মান সূর্যের নাম। শুদ্ধি অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, শুধু এ বছরই নয় আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে প্রথম থেকেই এই অভিযান চালাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ অভিযান চলমান থাকবে। এর আগে একজন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রী থেকে এবং দল থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছিল। অনেক এমপি দুদকের কাছে হাজিরা দিচ্ছেন। এছাড়া বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে এ বছর ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগকে সুন্দর ধারায় আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ইনকিলাবকে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত এগারো বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির যে বিপ্লব হয়েছে তার একমাত্র অগ্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার একক নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের শিখরে একেকটি ধাপ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ এখন অনেক দেশের মডেল আবার অনেক দেশের ঈর্শার কারণ।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন কিছু কাজ শেখ হাসিনা করেছেন যা দেশের ইতিহাসে হয়নি। শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে নিজ দলের দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তৃতীয় বারের মত ক্ষমতায় এসে মন্ত্রিসভা থেকে এমন এমন হেভিওয়েট নেতাদের বাদ দিয়েছেন তা ওই নেতারা কল্পনাও করেননি। দেশের ইসলামী দলগুলোর রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন তিনি। যা আগে ছিল আওয়ামী লীগের বিপক্ষে এখন তা আওয়ামী লীগের পক্ষে; অনেকে পক্ষে না থাকলেও বিরোধীতার জায়গায় নেই।

প্রশাসনের দুর্নীতি কমিয়ে আনতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীচের বেতন বৃদ্ধি করেছেন কয়েকবার। দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করেছেন। দলীয় পরিচয়ে কর্মকর্তাদের পদায়ন না দিয়ে দক্ষতার ভিত্তিতে পদায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুলিশের নিয়োগে সমালোচনা হওয়ায় চাকরী বাণিজ্য বন্ধে বিভিন্ন জেলার পুলিশ লাইনে সচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

তবে প্রধানমন্ত্রীর নানা সফলতার মাঝে মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যের দক্ষতা যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন বিরুপ পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারা এবং দক্ষতার পরিচয় দিতে পারছেন না তারা। সব কিছুতেই প্রধানমন্ত্রীর উপর নির্ভর করছেন তারা। সকল কিছুই যেন প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে হবে এমন অবস্থা বিরাজ করছে সরকারের মধ্যে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, শিক্ষক, নার্স-ডাক্তার, কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী, কোটাবিরোধী আন্দোলন, দলের অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, শুদ্ধি অভিযানসহ সকল কিছুই শেখ হাসিনাকে দেখতে হচ্ছে। এ নিয়ে দলের মধ্যেও প্রশ্ন উঠেছে যদি সবকিছুই প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে হয় তাহলে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীদের কাজ কি। ছাত্রআন্দোলনের সময় মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে মন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ভয় পেলে আমার সাথে রাজনীতি করার দরকার নেই।

কমিটিতে ব্যাপক পরিবর্তন:
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিতে বিএনপি-জামায়াত, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যুদের অনুপ্রবেশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন ত্যাগী কর্মীরা। এ নিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশাল একটি ফেস্টুন করা হয়েছিল ‘কাউয়া মুক্ত মোহাম্মদপুর আওয়ামী লীগ চাই’। যা সারা দেশেই আলোচিত হয়েছিল।

তাই এ বছর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করা হয়েছে। সম্মেলনের দিনই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে যেন কাউকে নিয়ে বিতর্ক থাকলে সাথে সাথেই তা সমাধান হয়। সম্মেলন গুলোতে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিতকরণ নিয়ে কয়েক জায়গায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ত্যাগী নেতারা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।

শুদ্ধি অভিযানে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, জিকে শামীম, ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূইয়া, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউছার, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, কৃষকলীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সম্রাট ও খালেদ গ্রেফতার হয়েছেন। এছাড়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষকলীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নতুন ও ক্লিন ইমেজের নেতারা পদ পেয়েছেন। শুধু দুইজন সেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা উত্তরের সভাপতি আনিছুর রহমান নাঈম এবং শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে নিয়ে সমালোচনা রয়েছেন। তারা কিভাবে পদ পেয়েছেন তা নিয়েও সমালোচনা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটির বিষয়ে লে. কর্ণেল ফারুক খান ইনকিলাবকে বলেন, কমিটিগুলো সুন্দর হয়েছে। যারা দক্ষ তারাই দায়িত্ব পেয়েছে। কমিটিতে তরুণদের স্থান দেয়া হচ্ছে। যারা ভাল কাজ করবে তাদের আসতে আসতে দলের কমিটিতে স্থান দেয়া হবে। আর যাদের অপরাধ অপকর্মের সমস্যা রয়েছে তারা কিছু পাবে না।

আমলাদের বিতর্কিত কর্মকান্ড:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বাড়লেও সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্নীতের কারণে সরকারের জনপ্রিয়তা কমেছে। সাধারণ জনগণ এবং আওয়ামী লীগের সমর্থকরাও এ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন বেশ কয়েকবার। সরকারের ভাল ভাল উদ্যোগকে বিতর্কিত করে দিচ্ছে দুর্নীতিবাজ অসৎ সরকারি কর্মকর্তারা। রুপপুর পারমানবিক প্রকল্পের দুর্নীতি, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের পর্দা কেলেঙ্কারি ও বৃক্ষরোপনে দুর্নীতি, দিনাজপুরের কয়লা চুরি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে রাজাকার তালিকার মুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকা নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, অদক্ষতার ফলে আওয়ামী লীগ সরকারকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। বড় বড় প্রকল্পগুলোর দুর্নীতি প্রকাশ্যে। কর্মকর্তাদের অদক্ষতায় সবগুলো কাজই শেষ হতে নির্ধারিত সময়ের বেশি লাগছে, অনেক গুলো আলোর মুখ দেখছে না। প্রকল্পের কাজের মান নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। এতে করে সরকারের ব্যয়ও অনেক বাড়ছে। প্রকল্পের নামে কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমন আর নতুন নতুন গাড়িতে চড়েই সময় ও টাকা নষ্ট করছেন। মাদক বিরোধী অভিযানকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্নীতিবাজ অতি-উৎসাহী কর্মকর্তারা বিতর্কিত করে দিয়েছেন নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে কয়েকজন ব্যক্তিকে ক্রস ফায়ার দেয়ার মাধ্যমে। ভাল ভাল উদ্যোগ শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের দুর্নীতিবাজদের জন্য।

এছাড়া সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর নানা আলোচনার পর এমন একটি আইন করা হয়েছে যাতে অতিরিক্ত জরিমানা আদায় নির্ধারণ করায় চালক-শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার। সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ব্যাপক ক্ষিপ্ত। টাকা ছাড়া কোথাও কাজ হয় না, দলের নেতাদেরও অনেক ক্ষেত্রে ঘুষ দিয়ে বিভিন্ন কাজ করাতে হয়। তাই শুদ্ধি অভিযানে রাজনৈতিক নেতাদের ধরা হলেও প্রশাসনে কবে শুদ্ধি অভিযান চালানো হবে সেই দাবি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের।

তবে প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনে শুদ্ধি অভিযান চালালেও তার গতি একটু কম। ধীরে ধীরে সময় নিয়ে প্রশানসকে সাজানোর চেষ্টা করছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব এবং সাবেক এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তার অধীনে বড় বড় প্রকল্পগুলোর কোনটার অগ্রগতিই আশানুরুপ হয়নি। তাই তার চুক্তির সময় পূর্ণ হাবার আগেই তাকে ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের সভাপতি পদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ইসলামী ফাউন্ডেশনের সাবেক জিডি সামীম মোহাম্মদ আফজালকেও সরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সীমাহীন দুর্নীতি, সেচ্ছাচারিতার কারণে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে অদক্ষ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এজন্য দুদককে শক্তিশালী করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন দফতরে দুদক নিয়মিত অভিযানও চালাচ্ছে।

ইসলামী রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে:
দেশের রাজনীতিতে ইসলামী দলগুলোর ভূমিকা বরাবরই আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ছিল। যার কারণে বিগত সময়ের নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক প্রচেষ্টা ও দক্ষতায় ইসলামী দলগুলো এবং আলেম সমাজ এখন প্রায় আওয়ামী লীগের পক্ষে। কিংবা পক্ষে না থাকলেও ইসলামী দলগুলো নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু শুরুতে ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরী করতে ১৪ দলীয় জোটের অন্যান্য দলগুলো এবং আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের অনেকনেতা বিরোধীতা করেছিল। তারা বোঝানো চেষ্টা করেছিল ইসলামী দলগুলোকে সমর্থন দিলে দেশে জঙ্গিবাদ বেড়ে যাবে। আওয়ামী লীগের সমর্থনও কমবে।

অভ্যন্তরীন বিরোধীতার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একক ভাবে উদ্যোগ নিয়ে ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরী করেছেন। এতে করে দেশের মাদক সমস্যা দূরীকরণে আলেমরা ভূমিকা রেখেছে এবং দেশ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি আরো সুন্দর হয়েছে। দলের নেতারা বিরোধীতা করলেও এখন সুবিধা ভোগ করছে। জঙ্গিবাদ তো বাড়েইনি বরং কমেছে। ধর্মান্ধতাও কমেছে। দৈনিক প্রথম আলোর এক তারুণ্য জরিপে উঠে এসেছে, ধর্মচর্চ্চার দিকে তারুণ্যের অংশগ্রহণ ২০১৭ সালে থেকে ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তরুণদের মতে, ধর্মচর্চ্চা বেড়েছে এবং ধর্মান্ধতা কমেছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেখানে তরুণরা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়তো, এখন তা-ও কমে আসছে।

ভবিষ্যত নেতৃত্ব তৈরী:
দল, সরকার ও প্রশাসনের সকল পর্যায়ের জন্য ভবিষ্যত নেতৃত্ব তৈরী করার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে সৎ. দক্ষ, ত্যাগী ও তরুণ নেতাদের কমিটিতে স্থান দেয়া হচ্ছে। যাতে করে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি সুন্দরভাবে চলতে পারে। হঠাৎ হোচট না খায়। নতুন নতুন নেতাদের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে এবং অভিজ্ঞ করা হচ্ছে ভবিষ্যতের জন্য। প্রশাসনেও নতুন নিয়োগদের মাধ্যমে তরুণদের স্থান দেয়া হচ্ছে। দেশ বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে। প্রত্যেক জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তা ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশ নিয়ে একশো বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা করে দিয়েছেন তিনি।
ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছেন। এ বছরের ১৭ মার্চ থেকে আগামী বছরের ১৭ মার্চ পর্যন্ত মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মুজিব বর্ষ নিয়ে অনেকে গুরুত্ব না দিলেও প্রধানমন্ত্রী তার লক্ষ্যে ঠিকই সফলতার ধারপ্রান্তে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘও মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান একসাথে পালন করতে সহমত ব্যক্ত করেছেন।

সমালোচনার উর্ধ্বে উঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন পুরো বাংলাদেশের আস্থার নাম। দেশের রাজনীতিতে বিকল্পহীন এক নাম। আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবেনা বাংলাদেশ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর