মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সবকিছু করব:প্রধানমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের কল্যাণে যা কিছু প্রয়োজন তা করার জন্য তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে ফুল দেওয়ার পর সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে এই অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সাত বীরশ্রেষ্ঠসহ ৭০ জন বীরউত্তম ও বীরবিক্রম এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের হাতে সম্মানীর চেক ও উপহার তুলে দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অন্ততপক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগ ভুলতে পারি না। আমি তাদের জন্য যা কিছু করার করবো। আল্লাহ যেন আমাকে সেই তৌফিক দান করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের পথ বেয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত লাভ করেছে।

তিনি বলেন, নিজের জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করে মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদান রেখে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদেরকে একটি দেশ ও একটি লাল-সবুজ পতাকা উপহার দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এ জন্য জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে এবং তাঁদের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি দিতে আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত বীরউত্তম, বীর বিক্রম ও বীর প্রতীকসহ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা/তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ভাষনে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ (এএফডি) চত্বরে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এএফডি’র প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল মইনুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল আবু এশরার এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ’র উত্তরাধিকারীদের পাশাপাশি অন্যান্য এওয়ার্ড প্রাপ্তদের উপহার প্রদান করেন।

তিনি সশস্ত্র বাহিনীর জুনিয়র কমিশনড অফিসার (জেসিও) এবং যুদ্ধ ও শান্তিকালীন সময়ে বীরোচিত অবদান রাখার জন্য অন্যান্য র‌্যাঙ্কের সদস্যসহ ১৯ জনের মাঝে ‘বাহিনী পদক’ (ফোর্সেস মেডেল) এবং অসামান্য সেবা পদক (আউটস্ট্যান্ডিং সার্ভিস মেডেল) প্রদান করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে অঙ্গীকারাবদ্ধ।স্বাধীনতা অর্জনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অমূল্য অবদান স্মরণ রাখা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব।’

বাসস

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর