প্রভাবশালীর দখলে ইছামতি নদী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভারত সীমান্ত ঘেঁষা নদী ইছামতি। নদীটি বছরের পর বছর ছিল উন্মুক্ত। গ্রামের মানুষ নদীতে গোসল করতেন। সেখানে চলতো শিশুদের সাঁতার প্রতিযোগিতা। এছাড়া নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। সম্প্রতি প্রভাবশালী শরিফুল ইসলাম নদীর দুই এলাকার মুখে বাঁধ নির্মাণ করে মাছ চাষ শুরু করেছেন। এরপর থেকে নদীতে কাউকে নামতে দিচ্ছেন না তিনি।

১২ দিন আগে শ্রীনাথপুর গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম নদীর মাঠপাড়া ও হালদারপাড়া এলাকায় দুইটি বাঁধ দেন। এতে আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ বিঘা জলাধার আটকে ফেলা হয়।

আর ১০ দিন আগে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা জলাশয় শরিফুল মাছ ছাড়েন। মাছ ছাড়ার পর নদীতে কাউকে গোসল করতে দেন না। এছাড়া চাষের জন্য পানি ব্যবহার করতেও দেন না। তাছাড়া স্থানীয় জেলেদের মাছ শিকারে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দেন শরিফুল।

হালদারপাড়ার সাধন হালদার জানান, নদীর পাড়ে ১৭টি পরিবারের শতাধিক মানুষ বসবাস করেন। এছাড়া তাদের গ্রামে আরো হালদার সম্প্রদায় রয়েছে। যারা এ নদীতে মাছ ধরে বিক্রি করেন। মাছ বিক্রির মাধ্যমে তাদের সংসার চলে। এ বাঁধ দেয়ার কারণে নদীতে নামতে পারছেন না তারা।

তিনি আরো জানান, শরিফুল ইসলামের এক ভাই স্থানীয় ইউপি সদস্য। ফলে ভাইয়ের প্রভাবে শরীফুল প্রভাবশালী হয়ে কোনো কিছুই মানতে চান না। তাদের সমস্যার কথা তাকে জানালে শরিফুল গুরুত্ব দেননি।

অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম জানান, এখন নদীতে পানি কম। তিনি খাবারের জন্য কিছু মাছ ছেড়ে বড় করছেন। এটা তিনি শুনে করেছেন বলে দাবি করে।

কার কাছ থেকে তিনি শুনেছেন জানতে চাইলে তা বলতে রাজি হননি শরিফুল।

শ্যামকুড় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমান উল্লাহ জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। দ্রুত খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবেন।

মহেশপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকার জানান, নদী দখলের বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর