ধূলিদূষণ রোধে ঢাকা দক্ষিণের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন রাজধানীর পরিবেশ দূষণ মোকাবেলার অংশ হিসেবে ধূলিদূষণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে নগরীতে পানি ছিটানোর ‘স্পেশাল ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ উদ্বোধন করেছেন।

আজ ১ ডিসেম্বর রবিবার নগর ভবন প্রাঙ্গণে এ ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করা হয়। এ প্রোগ্রামে ৯টি গাড়ি দ্বারা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন এলাকায় সব প্রাইমারী সড়কে পানি ছিটানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাঈদ খোকন বলেন, ধূলিদূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ডিএসসিসি বরাবরই কাজ করছে। এছাড়া আদালত কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। ধূলিদূষণ নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব পালন করে মূলত পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু নাগরিকদের কথা বিবেচনা করে আমরা আজ থেকে একটি বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালু করছি।

ডিএসসিসির যেসব প্রাইমারি রোড আছে সেগুলোতে সকাল ৬টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত এবং বিকেলে ২ টা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত দুই বেলা পানি ছিটিয়ে ধুলি এবং বায়ু দুষণ রোধ করার চেষ্টা করা হবে এ প্রোগ্রামের আওতায়।

তিনি আরও বলেন, সড়কসহ যেসব  স্থানে উন্নয়নের কাজ চলছে যেসব স্থানে খোঁড়াখুঁড়ির মাধ্যমে অযথা যদি কেউ অনিয়ন্ত্রিতভাবে ময়লা, বায়ুদূষণের পরিবেশ সৃষ্টি করে রাখে তাহলে আমরা প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাকরাইল হতে মৎস্য ভবন, গুলিস্তান রোড, বঙ্গভবনের সামনে, তোপখানা রোড, সেগুনবাগিচা, আনন্দবাজার, পলাশী, শাহবাগ,কাটাবন, সাতমসজিদ রোড, হাজারীবাগ, ঝিগাতলা, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, হাতিরপুল, শেরাটন মোড়, মগবাজার,কাকরাইল, শান্তিনগরসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রায় সব এলাকায় সারা দিনে দুবার পানি ছিটানো হবে।

ক্রাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধনকালে মেয়রের সাথে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ ইমদাদুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডোর জাহিদ হোসেন, কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিভিন্ন উন্নয়নকাজ চলায় সৃষ্ট ভোগান্তির জন্য নাগরিকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে মেয়র সাঈদ খোকন উন্নয়নের স্বার্থে এটি মেনে নেওয়ার জন্যও নাগরিকদের প্রতি আহবান জানান। এছাড়া ফিল্ড পর্যায়ে এসব কাজের তদারকি জোরদার করতে তিনি সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অন্যথায় অহেতুক ও ইচ্ছাকৃত ভোগান্তি এড়াতে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান মেয়র।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর