প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাএরদোগানের নোবেল পাওয়া উচিত: অর্থমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে মানবতার ইতিহাস তৈরি করেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের যেভাবে আশ্রয় দিয়েছেন তাতে তাদের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত। আশা করা যায়, সারা বিশ্ব এ বিষয়ে একমত পোষণ করবে।

মঙ্গলবার আঙ্কারায় বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন সভায় তিনি একথা বলেন। বাণিজ্য- বিনিয়োগসহ ১৫টি লক্ষ্য সামনে রেখে মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে শুরু হওয়া যৌথ সভাটি তুরস্কের সঙ্গে পঞ্চম সভা। এতে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের স্পিকার মুস্তফা সেন্তোপ।

সভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, তুরস্ক চার মিলিয়ন (৪০ লাখ) শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, আর বাংলাদেশ এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। পৃথিবীর অন্যতম প্রধান জনবসতিপূর্ণ ছোট দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ হচ্ছে একটি সামাজিক বন্ধন ও সম্প্রীতির দেশ এবং এটি আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটি হাতিয়ারও। কিন্তু, রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে এটা অনেকটাই হুমকির মুখে। তাই বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিকল্প নেই। যে কোনো উপায়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে তুরস্ককে সহায়তা করার অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারসহ ওই এলাকার পুরো পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এতে আমাদের সামাজিক ও জলবায়ুগত চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। আমাদের সামাজিক বন্ধনসহ যেসব ক্ষতি হচ্ছে তা ডলার বা টাকার অংকে পরিমাপ করা সম্ভব নয়। তাই রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে, এটাই আমাদের প্রধান চাওয়া।

মুস্তফা কামাল বলেন, তুরস্ক বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী। তাই, তুরস্ক যদি বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য জায়গা চায়, তাহলে সরকার তাদের সর্বোতভাবে সহায়তা করবে।

সভায় তুরস্কের স্পিকার মুস্তফা সেন্তোপ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দূরত্ব অনেক হলেও দুই দেশের মধ্যে ধর্ম, সংস্কৃতিসহ রয়েছে অনেক ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য। আমি আপনার (অর্থমন্ত্রী) এ সফরে অত্যন্ত আনন্দিত ও আশা করছি এটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উদারতার মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আরাকানের এ মুসলিমদের ওপর যে অবিচার করা হয়েছে, সেটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। তুরস্ক এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।

এ সময় অর্থমন্ত্রী তুরস্কের স্পিকারকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি স্পিকারকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তুরস্কের স্পিকার এতে সম্মতি দেন। সভায় ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর