মেসির ব্যবহারে ক্ষুব্ধ ব্রাজিল অধিনায়ক সিলভা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেই আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তার একমাত্র গোলে সৌদি আরবে প্রীতি ম্যাচে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারায় তারা।

জুলাইয়ে নিজেদের মাঠে কোপা আমেরিকা জয়ের পর টানা ৫ ম্যাচে জয়হীন রইল ব্রাজিল। ম্যাচটিতে হারের পর আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসির ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সেলেসাওদের অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা।

ব্রাজিল অধিনায়কের মতে, পুরো ম্যাচেই নাকি তাদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন মেসি। তার দুর্ব্যবহারে বেশ চটেছেন সিলভা। তার অভিযোগ, খেলায় রেফারির সিদ্ধান্তও প্রভাবিত করার চেষ্টা করে মেসি।

ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবো এস্পোর্তেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সে পুরোটা ম্যাচই আমাদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে চেয়েছিল। আমাদের দুজন ফুটবলারকে সে লাথিও মেরেছিল, কিন্তু তারপরও রেফারি কিছু করেননি। আমি রেফারির সাথে ঝগড়া করছিলাম আর তখন সে হাসছিল। লিওকে আমি সম্মান করি, কিন্তু আসলে এরকম অবস্থায় সম্মান দেওয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে। সে সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় ফ্রি-কিক দিতে রেফারিদের জোর করার চেষ্টা করে।”

“আমরা স্পেনের অনেক ফুটবলারের সাথে কথা বলেছি। তারাও এ ব্যাপারে সম্মতি প্রকাশ করেছে যে সে ম্যাচ ও রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে থাকে। সে অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লিগে এটা করতে পারে না। কারণ ইউরোপে রেফারিরা আরও কঠোর। কিন্তু অনেক রেফারি আছে; যারা মেসির প্রতি সম্মান থেকে তার প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে থাকে। এই ম্যাচে নেইমারের না থাকাটা আমাদের বেশ ভুগিয়েছে।”

ম্যাচে মেসিকে নিয়ে সিলভার মত অভিযোগ ছিল ব্রাজিল কোচ তিতেরও। ম্যাচের শেষদিকে মুখে আঙ্গুল দিয়ে তিতেকে চুপ করার ইঙ্গিত করেছিলেন মেসি। এ ব্যাপারে ব্রাজিল কোচ বলেন, “আমি রেফারিকে অভিযোগ করার কিছুক্ষণ আগেই রিশার্লিসনকে করা ফাউলের জন্য তার হলুদ কার্ড দেখা উচিত ছিল। কিন্তু রেফারি তাকে শাস্তি দেননি। আমি অভিযোগ করার পরই সে আমাকে ইশারা করে চুপ করতে বলে, আমিও তাকে চুপ করতে বলি। সে দুর্দান্ত ফুটবলার, কিন্তু ঐ ফাউলের জন্য তার হলুদ কার্ড দেখার সম্ভাবনা ছিল। আমার অভিযোগ ঠিকই ছিল।”

ম্যাচ চলাকালীন সময় তিতের প্রতি এমন ব্যবহারে চটেছেন সিলভা, “সে তিতেকেও চুপ করতে বলেছিল। বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত ফুটবলারদের একজন যখন এসব করে, তখন আসলে মাঠে প্রতিপক্ষকে সম্মান দেওয়ার ব্যাপারটি বোঝা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। দু’দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা বা ইতিহাস যেমনই হোক, প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মানটাই বার আগে আসা উচিত।”

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর