স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না জেনেই বিএনপি গুপ্তহত্যায় নেমেছে। বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিএনপি নেত্রীর নির্দেশে দলীয় সন্ত্রাসীরা ঘৃণ্য কাজে নেমেছে। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। রোববার লালমনিরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সন্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে খুন করতে চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু জনগণের দোয়ায় বেঁচে যান তিনি। এখন খালেদা জিয়া বিদেশে বসে খুনের রাজনীতি এবং খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোনোদিন বন্ধ করা যাবে না। নির্দেশদাতা বড় ভাইও বিচারের হাত থেকে রেহাই পাবেন না। আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বচনের মাঠ থেকে বিএনপি পালিয়ে যাবে না মন্তব্য করে নাসিম বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর হবে। আগামী ২০১৯ সালের আগে কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না। সে নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হবে। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে ভুল করেছেন তিনি। নির্বাচন না হলে দেশে মার্শাল ‘ল’ আসতো। আন্দোলন কীভাবে করতে হয় তা আওয়ামী লীগের কাছে শিখতে হবে বিএনপির। এ সময় তিনি লালমনিরহাট সদর হাসপাতালকে ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১শ’ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও কৃষিবিদ শাহ আলম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঙ্কজ দেবনাথ এমপি। সন্মেলন উদ্ধোধন করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপি, খাদ্য প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার আবু সালেহ মো. সাঈদ দুলাল এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমী এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সিরাজুল হক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।