লঘু চাপে নুইয়ে পড়ছে আধপাকা ধান

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সীমান্ত ঘেঁষা কুড়িগ্রামের জনপদে শুক্রবার থেকে দুইদিন ধরে উড়িষ্যার লঘুচাপের প্রভাবে দমকা হাওয়া বিরাজ করছে। গুড়িগুঁড়ি বৃষ্টির পানিতে ধানগাছের গোড়ায় পানি জমে গোড়া নরম হওয়ায় দমকা হাওয়া ধানের গাছে লেগে ধান গাছগুলো মাটিতে নুইয়ে পড়ছে। এই নুইয়ে পড়া ধানগুলো নিয়ে বিপাকে পড়েছে এখানকার কৃষক।
কুড়িগ্রামের ঘোগার কুটি গ্রামের কৃষক মাহাবুল হক ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, তার এক বিঘা জমিতে স্বর্ণ জাতের কাঁচা ধানক্ষেতে শনিবারের দমকা বাতাসে নুইয়ে পড়তে শুরু করেছে। তিনি ওই ধান গাছগুলো মাটি থেকে উঠিয়ে বেঁধে দাঁড় করে দিচ্ছেন। দমকা হাওয়ায় ধানগাছ মাটিতে পড়ে যাওয়ায় তিনি ধানের ফসলে এবার ধানের চেয়ে চিটার পরিমাণ বেশি পাবেন বলে আশঙ্কা করছেন।

পূর্ব-ধনিরাম গ্রামের কৃষক শ্যামল চন্দ্র জানান, তার প্রায় ২৫ শতাংশ জমির আধাপাকা স্বর্ণ মশারি জাতের ধান দমকা হাওয়ায় সম্পূর্ণ মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। দুই/চারদিন পর এই ধান কেটে ঘরে তোলার কথা থাকলেও তার এই আশা এখন নিরাশায় পরিণত হয়েছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিমল কুমার দে জানান, কুড়িগ্রামে বিরাজমান দমকা হাওয়ায় ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে কিছু স্থানে আমনের উঁচু ধানগাছ মাটিতে পড়েছে। এগুলো দাঁড় করিয়ে বেঁধে দিলে চিটার পরিমাণ কমবে।

এদিকে দুইদিন ধরে এরুপ আবহাওয়ায় দুপুর গড়িয়ে গেলেও আকাশে পূর্ণাঙ্গ সূর্যের দেখা মিলে না। সূর্য উঁঁকি দিলেও তা নিমেষেই আবার তা কালো মেঘে ডুবে যাচ্ছে। এছাড়া দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় ঠাণ্ডার প্রকোপও কমছে না। এই ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে এ জনপদের শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষ গায়ে জড়াচ্ছে মোটা কাপড়। রাতে ঘুমাতে লেপ ও কম্বলের ব্যবহারও বেড়ে গেছে।

কুড়িগ্রাম রাজাহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, ভারতের উড়িষ্যার লঘু চাপের প্রভাব বাংলাদেশে বিরাজ করায় কুড়িগ্রামের জনপদে দমকা হাওয়া, গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ও ঠাণ্ডা দেখা দিয়েছে। রোববার নাগাদ এই আবহাওয়ার সমাপ্তি ঘটতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর