ঐক্যফ্রন্টের বিলুপ্তি দাবি ইরানের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  বিএনপি ড. কামালদের নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, কামাল-রবদের নিয়ে বিএনপি সময় নষ্ট না করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের প্রস্তুতি নেয়া দরকার। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ও সরকারের ভোট ডাকাতির মোকাবিলায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাই নির্বাচনে সীমাহীন ব্যর্থতা, অপরিপক্কতা ও সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়নের দায়ে ঐক্যফ্রন্টকে বিলুপ্ত করা উচিত।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) নয়াপল্টনের কার্যালয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবাষীকিতে ‘রুখো আগ্রাসন-হটাও দুঃশাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইরান বলেন, তাদের সকল কর্মকাণ্ড দেশবাসী ও জাতীয়তাবাদী শক্তির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী আন্দোলনমুখী বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করেছে। পরবর্তীতে ড. কামাল নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। ২০ দলীয় জোটকে অকার্যকর রেখে আওয়ামী লীগকে তৃতীয় দফায় ক্ষমতাসীন করতেই কামালরা বন্ধু বেশে জাতীয়তাবাদী শক্তির ওপর সওয়ার হয়েছে। বিএনপির ৯০ ভাগ নেতাকর্মী বিগত নির্বাচনে পরাজয় ও বেগম জিয়ার মুক্তি দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণ ঐক্যফ্রন্টকে মনে করে।

তিনি বলেন, ভাবতে অবাক লাগে যে, বাংলাদেশের প্রধান জনপ্রিয় দল ও জোটের প্রধান, সাবেক তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী, সাবেক সেনাপ্রধানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ দুই বছর ধরে মিথ্যা ও প্রতিহিংসার মামলায় কারাবন্দি। বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে এ যাবৎ ঐক্যফ্রন্ট কোনো জোরালো বক্তব্য বা কার্যকর কর্মসূচি দেয়নি। বরং তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যা হাস্যকর।

তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়া বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী শক্তির ঐক্যের প্রতীক। শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সাবভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার সংগ্রামে চেতনার বাতিঘর। ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে, সরকারের আজ্ঞাবহ আদালত দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই বেগম জিয়া ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে ২০ দলীয় জোটের দুর্বার সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।

লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট ফারুক রহমানের সভাপতিত্বে ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান খালেদ, এস এম ইউসুফ আলী, আমিনুল ইসলাম আমিন, মো. আলাউদ্দিন আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমাউন কবির, কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, যুবমিশন আহ্বায়ক মোহেব্বুল্লাহ মেহেদী, সদ্য সচিব মো. সৈকত চৌধুরী, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর