হাওর বার্তা ডেস্কঃ যুবলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। আগামী ২৩ নভেম্বর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই সম্মেলনে যুবলীগের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনায় শুরু হয়েছে।
কে কে আসছেন নতুন নেতৃত্বে, এরই মধ্যে কয়েক জনের নামও শোনা যাচ্ছে। সম্মেলনকে সামনে রেখে বেশ কয়েকজন পদ প্রত্যাশী রয়েছেন। যাদের নাম অনেক আগে থেকেই তাদের শোনা যাচ্ছিলো।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগের সম্মেলনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের মধ্যে তৈরি হয়েছে একটি বলয়। যারা যুবলীগে চেয়ারম্যান হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে থাকবে। যুবলীগ নেতারা বলছেন, সংগঠনের মধ্যে যখন শুদ্ধি অভিযান চলছে ঠিক তখন যুবলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হতে যাচ্ছে।
ফলে সংগঠনের জন্য যারা ত্যাগী ও পরিশ্রমী তারাই আসবে যুবলীগের নেতৃত্বে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ১১ বছরের ক্ষমতায় যারা যুবলীগে থেকেও অপকর্ম, দুর্নীতি থেকে দ‚রে থেকেছে অর্থাৎ ‘ক্লিন ইমেজের ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের জন্য দরদী তারাই আসবে যুবলীগের নেতৃত্বে।
জানা গেছে, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে চাঙা হয়ে উঠেছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সম্মেলন করার নির্দেশনা আসার পর থেকেই সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নড়ে-চড়ে বসতে শুরু করেন। সম্ভাব্য প্রার্থী কারা হতে পারেন তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে জল্পনা-কল্পনা।
যুবলীগের শীর্ষ নেতারা আসন্ন কংগ্রেসে আশানুরূপ পদ পেতে তোড়জোর শুরু করে দিয়েছেন। বরাবরের মতো এবারও যুবলীগের নেতারাই চেয়ারম্যান বা সাধারণ সম্পাদক পদে আসবেন বলে আশা করছেন সংগঠনের নেতারা। তবে ছাত্রলীগের কয়েকজন সাবেক নেতাও আসন্ন কমিটিতে পদ পেতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে।
জানা গেছে, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে ও সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসের নাম সংগঠনের চেয়ারম্যান হিসেবে শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়াও যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার নামও আলোচনায় রয়েছে। এর বাইরেও যুবলীগের চেয়ারম্যান হতে পারেন এমন বেশ কয়েকজন নেতার নাম সংগঠন সূত্রে সামনে আসছে। যারা এখন প্রতিযোগিতায় মাঠে রয়েছেন।
এ ছাড়া ফজলে নূর তাপসের বড় ভাই ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ-এর নামও আলোচনায় রয়েছে। তবে যুবলীগের চেয়ারম্যান কে হবেন এটি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ঠিক করে দেবেন। আর কমিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের প্রভাব থাকবে। কারণ তারা দুই জনেই যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যুবলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফ চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের আপন ছোট ভাই।
এ ছাড়া শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছোট ছেলে শেখ ফজলে নাঈমও আলোচনায় রয়েছেন। তিনি বর্তমানে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, তরুণ সমাজের জনপ্রিয় নাঈম পেশায় আইনজীবী। এর বাইরে আলোচনায় রয়েছেন অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান শহীদ তথা শহীদ সেরনিয়াবাতের নাম।
সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকাÐে তার উপস্থিতি দৃশ্যমান। তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের খালাতো ভাই বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী মির্জা আজমের নামও যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে আলোচনায় রয়েছে।