ব্যবসায় লোকসান ও পারিবারিক অশান্তিতেই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আত্মহত্যা

 হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্যবসায় কোটি টাকার লোকসান, সেইসাথে পারিবারিক অশান্তি। এসব কিছু থেকে মুক্তি পেতেই স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হন বায়েজিত। এমন ধারণা স্বজন ও প্রতিবেশীদের। যদিও এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন তারা। আর পুলিশের ধারণা সন্তান ও স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর সে নিজে আত্মহত্যা করেছে। ময়না তদন্তেও বিষক্রিয়ার আলামত পাওয়া গেছে।

বাড়ির সামনে প্রতিবেশীদের ভিড় আছে এখনও। বারান্দায় ঝুলছে শুকাতে দেয়া কাপড়। সবই আছে আগের মতো। শুধু বাসার মানুষেরা চলে গেছে না ফেরার দেশে।

চলে যাবার আগে চিরকুটে লিখে গেছেন অভিমানের কথা। ব্যবসায় একের পর এক লোকসানে কোটি টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে বায়েজিত। দেনার দায়ের মামলা করেছে ব্যাংক। প্রতিদিনই  টাকার খোঁজে বাসায় আসতো পাওনাদার।

হয়তো এ কারণেই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া। প্রতিবেশীরা জানান, ছোট বেলা থেকেই মিরপুরে বড় হয়েছেন অঞ্জনা আক্তার। পরে বায়েজিদের সাথে প্রেমের বিয়ে। একমাত্র ছেলে ফারহানকে নিয়ে থাকতেন বোনের ফ্ল্যাটে।

বৃহস্পতিবার বাসায় তিনজনের মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন স্বজনরা। ঘটনাস্থলে এসে বিরিয়ানীর প্যাকেটসহ নানা আলামত সংগ্রহ করে সিআইডি।

ময়না তদন্তের জন্য তিনজনের মরদেহ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে।

 

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর