বাড়ির সামনে প্রতিবেশীদের ভিড় আছে এখনও। বারান্দায় ঝুলছে শুকাতে দেয়া কাপড়। সবই আছে আগের মতো। শুধু বাসার মানুষেরা চলে গেছে না ফেরার দেশে।
চলে যাবার আগে চিরকুটে লিখে গেছেন অভিমানের কথা। ব্যবসায় একের পর এক লোকসানে কোটি টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে বায়েজিত। দেনার দায়ের মামলা করেছে ব্যাংক। প্রতিদিনই টাকার খোঁজে বাসায় আসতো পাওনাদার।
হয়তো এ কারণেই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া। প্রতিবেশীরা জানান, ছোট বেলা থেকেই মিরপুরে বড় হয়েছেন অঞ্জনা আক্তার। পরে বায়েজিদের সাথে প্রেমের বিয়ে। একমাত্র ছেলে ফারহানকে নিয়ে থাকতেন বোনের ফ্ল্যাটে।
বৃহস্পতিবার বাসায় তিনজনের মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন স্বজনরা। ঘটনাস্থলে এসে বিরিয়ানীর প্যাকেটসহ নানা আলামত সংগ্রহ করে সিআইডি।
ময়না তদন্তের জন্য তিনজনের মরদেহ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে।