সুস্থ থাকতে প্রতিদিন কত মিনিট হাঁটবেন

আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তির সঙ্গে তা মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরা পুরোপুরি প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাচ্ছি। যেমন সকালে বাসা থেকে বের হয়ে গাড়িতে বা রিকশায় উঠে অফিসে যাচ্ছি।

আবার অফিসে ডেক্সে বসে কম্পিউটার বা লেখালেখি তারপর অফিস থেকে গাড়িতে উঠে জামের কারণে দুই থেকে তিন ঘণ্টা গাড়িতে বসে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরে ক্ষুধার্ত উদর ভর্তি করে খাবার খেয়ে, মোবাইল বা ল্যাপটপে কিছুক্ষণ ফেসবুকিং করে বিছানায় ঘুমাতে যাওয়া।

অন্যদিকে যদি আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ কর্ণধার শিশু-কিশোরদের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব তাদেরও একই অবস্থা। খুব সকালে চোখ মুছতে মুছতে ব্যাগভর্তি বই নিয়ে স্কুলে যাওয়া তারপর একের পর এক টিউটর ও হোমওয়ার্ক শেষ করতে না করতেই চোখ ঘুম নিয়ে বিছানায়। এই হচ্ছে বাস্তবিক অর্থে আমাদের বেশিরভাগ কর্মজীবী মানুষের দৈনন্দিন রুটিন।

যার ফলে দৈনন্দিন শারীরিক কার্যক্রম হচ্ছে না বললেই চলে যার ফলে শরীরে বাসা বাঁধছে বিভিন্ন অসুখ বিসুখ যেমন- ডায়বেটিস, উচ্চরক্তচাপ, আথ্র্রাইটিস, ওবেসিটি বা স্থুলতা, মাংসপেশির শক্তি কমে যাওয়া, অষ্ঠিওপোরোসিস বা হাড়ের ভঙ্গুরতা ইত্যাদি।

এসব কারণে সারা বিশ্বের সব মানব-মানবীকে ফিজিক্যাল একটিভিটি বা শারীরিক কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য ওয়ার্ল্ড কনফেডারেশন ফর ফিজিক্যাল থেরাপি (ডব্লিউ সি পি টি) এবারের ফিজিওথেরাপি দিবসের এই প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছেন।

তাই আসুন প্রতিদিন অন্তত ৪৫ মি. হাঁটি অথবা ৪৫ মি. ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করি অথবা সুযোগ থাকলে ৪৫ মি. সাঁতার কাটি অথবা সময় না পেলে অফিস থেকে বাসা কাছাকাছি হলে ফেরার সময় গাড়িতে না উঠে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরলেন তাহলে অন্তত কিছুটা হলেও ফিজিক্যাল একটিভিটি বাড়ল যা আপনাকে নিরোগ রাখতে সাহায্য করবে।

কত সময় হাঁটবেন

প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটুন। এছাড়া যদি হাঁটতে ভালো লাগে তবে হাঁটার সময়টা ১ ঘণ্টা পর্যন্তও হতে পারে। এছাড়া যারা বেশি হাঁটতে পারে না তারা ওই ৪০ মিনিট হাঁটার সময়ে ১০ মিনিটের বিরতি দিতে পারেন। পাঁচ দিন ৩০ মিনিট করে ১৫০ মিনিট হাঁটলেও আপনি সুস্থ থাকবেন।

তবে কখনোই ৩০ মিনিটের কম হাঁটা উচিত হবে না।সকালে বা বিকালে হাঁটতে পারেন।

হাঁটার গতি কেমন হবে

হাঁটার সময় অনেকে বুঝতে পারেন না যে, হাঁটার গতি কেমন হবে। তবে হাঁটার জন্য তেমন নির্দিষ্ট কোনো গতি নেই। প্রথমে ধীরে ধীরে হাঁটা শুরু করার পর আস্তে আস্তে গতি বাড়াতে হবে। শরীরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যতটুকু পারা যায় গতি বাড়াতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর