বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের সব শূন্যপদে নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বেসরকারি বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ নতুন নিয়মে হতে যাচ্ছে। বুধবার এক পরিপত্রের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা দেয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা জারির আগ পর্যন্ত বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা, ২০০৬ সংশোধনের কারণে নিয়োগ কার্যক্রমে পদ্ধতিগত পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দেয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার এ নির্দেশনাটি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা ২০০৬ এর অধিকতর সংশোধনীর গেজেট প্রকাশের তারিখ থেকে কার্যকর বলে পরিপত্রে স্পষ্ট করে দেয়া হয়। এ কারণে গেজেট প্রকাশের দিন ২২ অক্টোবরের পর গৃহীত সব নিয়োগ কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়। বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি বন্ধে নীতিমালা সংশোধনের এ উদ্যোগ নেয় সরকার। নতুন নিয়মে দেশের বেসরকারি বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে বিসিএসের আদলে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নিয়ে মেধা তালিকা করে দেবে সরকার। এই মেধাক্রম অনুযায়ীই নিয়োগ দিতে হবে। গত ২২ অক্টোবরের সই করা বিধিমালাটি ৪ নভেম্বর বিধিমালাটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। নতুন নিয়মে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রতিবছরের নভেম্বর মাসের মধ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে ওই জেলার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পদ ও বিষয়ভিত্তিক শূন্য পদের তালিকা সংগ্রহ করবে। এ তালিকার ভিত্তিতে পরীক্ষা নেয়া হবে। প্রথমে একটি বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা হবে। এরপর ঐচ্ছিক বিষয়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের উপজেলা, জেলা ও জাতীয়ভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। এ মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। কোনো প্রার্থী লিখিত ও মৌখিক উভয় ক্ষেত্রে পৃথকভাবে শতকরা ৪০ নম্বর না পেলে মেধাতালিকায় স্থান পাবেন না। মেধাভিত্তিক মূল তালিকা ছাড়াও শূন্য পদের ২০ ভাগ প্রার্থীর সমন্বয়ে অপেক্ষমাণ তালিকাও প্রকাশ করা হবে। মৃত্যু হলে, চাকরি ছাড়লে বা অন্য কোনো কারণে পদ শূন্য হলে এ তালিকা থেকে শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর