স্ত্রীকে তালাক না দেয়ায় শিকলবন্দি যুবক

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্ত্রীকে তালাক না দেয়ায় পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিল্টন হোসেন (৩২) নামের এক যুবককে লোহার শিকলে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, বৃহস্পতিবার রাতে তাড়াশ পৌর এলাকার রঘুনিলী গ্রামে। মিল্টন হোসেন ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

অভিযোগকারী বগুড়ার জেলার গাবতলী উপজেলার ধুলিরচর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে রাবেয়া খাতুন (৩০)  নির্যাতিত যুবক মিল্টনের স্ত্রী। মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার স্থানীয় একদল সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে দেখা যায়, ইসমাইল হোসেনের বসতবাড়ির একটি বারান্দায় লোহার শিকলে বাঁধা রয়েছেন ওই যুবক। মিল্টনের দুই হাত, দুই পা ও কোমরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। পৃথক ৩টি শিকলে ঝুলছে বড় বড় ৩টি তালা। একটি বারান্দার খামের সঙ্গে আরো ২টি তালা যুবকের শরীরে।

শিকলে বাঁধা যুবক মিল্টন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তার বাবা-মা ও বোন মিলে আমাকে নির্যাতন করে জোরপূর্বক বেঁধে রেখেছেন। মিল্টন আরো জানায়, তার স্ত্রীকে তালাক দিতে বাবা-মা প্রায়ই তাকে চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। কিন্তু সে তালাক না দেয়ায় পরিবারের সদস্যরা মিলে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে এভাবে বেঁধে রেখেছেন।
এ প্রসঙ্গে মিল্টনের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে তালাক দেয়ার জন্য তার স্বামীকে মারপিট করে এভাবে বেঁধে রেখেছেন। এদিকে মিল্টন হোসেনের বাবা ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার ছেলে মিল্টন মাদকাসক্ত  তাই তার নির্যাতনে বেঁধে রাখা হয়েছিল। আর তার স্ত্রীকে একবার তালাক দিয়ে দ্বিতীয়বার আবার তাকেই মিল্টন বিয়ে করায় তাদের সঙ্গে বনিবনা নেই।

এদিকে বেলা ২টার দিকে মিল্টনকে শিকলে বেঁধে রাখার খবর পেয়ে তাড়াশ থানার এএসআই তাপস তাকে উদ্ধার করে তাড়াশ হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মিল্টন হোসেন ও তার বাবা-মা ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর