রাঙ্গামাটি ও বড়াইগ্রামে সড়ক বেহাল

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সং স্কার ও মেরামতের অভাবে রাঙ্গামাটি শহরের রাজবন বিহারের সড়কের বেহাল অবস্থা। রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার বাংলাদেশের প্রধান বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। সেখানে অসংখ্য পুণ্যার্থী ছাড়াও প্রতিনিয়ত সমাগম ঘটে দেশ-বিদেশের বহু দর্শনার্থীর। অথচ এ বৌদ্ধ তীর্থের রাস্তাটি সংস্কারে নজর নেই স্থানীয় পৌরসভাসহ কোনো কর্তৃপক্ষের। ফলে চলাচলে ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন মানুষ।

সূত্রমতে, চলতি অর্থবছরে রাঙ্গামাটি পৌরসভা ১১৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করলেও রাজবন বিহার সংলগ্ন হাসপাতাল এলাকার রাস্তাটি সংস্কারে কোনো বরাদ্দই রাখা হয়নি। রাস্তাটি দিন দিন আরও বেহাল হচ্ছে। এতে বিঘ্ন ঘটছে যান চলাচলে। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রাজবন বিহারে অবস্থানরত বৌদ্ধভিক্ষু, পুণ্যার্থী, দর্শনার্থী, স্থানীয় লোকজনসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। সরেজমিন দেখা যায়, রাজবন বিহার সংলগ্ন হাসপাতাল এলাকার রাস্তা ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টির পানি জমে আছে। কাদামাটির রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করছেন লোকজন। এতে পড়ছেন দুর্ভোগে। অথচ দেখার যেন কেউ নেই। এছাড়া রাঙ্গামাটি শহরের আনন্দ বিহার সংলগ্ন এলাকা, কলেজ গেট, ট্রাবেল আদাম, আমানতবাগ এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন অলিগলির রাস্তা সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে।

এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দিন বলেন, পৗর এলাকার প্রতিটি রাস্তার স্থায়ী মেরামত হওয়া আবশ্যক। এ লক্ষ্যে পৌরসভা উদ্যোগ নিচ্ছে। রাজবন বিহার সংলগ্ন হাসপাতাল এলাকার রাস্তাটির কাজ দ্রুত করা হবে। রাজবন বিহারের হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় বিশ্বশান্তি প্যাগোডার নির্মাণ কাজ চলায় এ মুহূর্তে রাস্তাটির সংস্কার কাজ করা হচ্ছে না। তাই পরবর্তী অর্থবছর ছাড়া এ কাজটি সম্ভব নয়।এদিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল বাজার থেকে রাজাপুর হাট পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বর্তমানে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে এ এলাকার বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় নাটোর-পাবনা মহাসড়কের রাজাপুর বাজার থেকে জোনাইল বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিমি. দীর্ঘ সড়কটির বুক জুড়ে শত শত খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বড়াইগ্রামের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াতের জন্য এটি একমাত্র রাস্তা হওয়ায় এতে প্রতিদিন বড় যানবাহন ছাড়াও শত শত সিএনজি থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, ভ্যান, ভটভটি চলাচল করে। স্থানীয়রা জানান, বড়াইগ্রামের জোনাইল, চান্দাই ও গোপালপুর ইউনিয়নের লোকজন এ পথে জেলা ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। রাজাপুর অনার্স কলেজসহ পাঁচটি কলেজ, তিনটি হাইস্কুল, তিনটি মাদ্রাসা, তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এ পথে চলাচল করেন। কিন্তু রাস্তাটি দীর্ঘ সাত বছর ধরে সংস্কার না করায় সড়কের প্রায় সব জায়গায় বিটুমিন উঠে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায়ই এসব গর্তে মালবোঝাই ট্রাকের চাকা দেবে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।

এসব গর্তের কারণে থ্রি-হুইলার জাতীয় যানবাহনগুলো প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ে। রাস্তার এ দুরবস্থার কারণে শিক্ষার্থীসহ এলাকার বাসিন্দারা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দাসগ্রাম আকবর মোড় এলাকার বাসিন্দা মহসিন আলী বলেন, রাস্তার গর্তগুলো বেশ গভীর।

অনেক ক্ষেত্রেই মালবোঝাই ট্রাকের চাকা এসব গর্তে দেবে গিয়ে রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। ট্রাকচালক আবদুল মালেক বলেন, পুরো রাস্তাজুড়েই খানাখন্দ। গাড়ি চালাতে কি যে অসুবিধা তা বলে বোঝানো যাবে না। গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম খান বলেন, জোনাইল ও রাজাপুরহাট এ এলাকার বৃহত্তম দুটি হাট। কিন্তু রাস্তা খারাপের কারণে এসব হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী আবদুর রহিম জানান, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই রাস্তা সংস্কার করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর