কিছু গল্প ভালোলাগার মতো

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অরুণ চৌধুরী মায়াবতী ছবিটি মুক্তি পায় গত সপ্তাহে। এই ছবিটি দিয়ে আলোচনায় আছেন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস। মূলত তিনি বড় পর্দার অভিনেত্রী হলেও ইদানীং ছোট পর্দাতেই তার বেশি ব্যস্ততা। অভিনয় এবং নির্মাণ মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। নাট্য নির্মাতা হিসেবেও ভালই কাজের অভিজ্ঞতা আছে তার। পাশাপাশি চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে কথা হয় তার সঙ্গে। বললেন ক্যারিয়ার এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে

প্রথমেই ‘মায়াবতী’ ছবিটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ কেমন দেখছেন জানতে চাইলে বলেন, অরুণ চৌধুরী পরিচালিত এ ছবিতে আমি গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। ছবিটি দেখে অনেকেই আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুনেছি দর্শকও নাকি ছবিটি বেশ আগ্রহ নিয়েই দেখছেন।
তাহলে ছবিতে নিয়মিত অরুণাকে পাওয়া যাবে জানতে চাইলে বলেন, চলচ্চিত্রের জন্যই দর্শক আমাকে বেশি চেনেন। এখন পর্যন্ত অনেক ছবিতেই কাজ করছি। তাই এ মাধ্যমের প্রতি আমার আগ্রহও বেশি। বর্তমানে রাহিম পরিচালিত ‘শান’ এবং আবুল কালাম আজাদ পরিচালিত ‘ও মাই লাভ’ নামে দুটি ছবির কাজ হাতে রয়েছে। শিগগিরই হয়তো কয়েকটি নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হব।

ছোটপর্দায় তো নির্মাণে হাত পাকিয়েছেন। শোনা গিয়েছিল বড় পর্দায়ও নির্মাণে আসবেন অরুণা বিশ্বাস। অগ্রগতি জানতে চাইলে অরুণা বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে বসে আছি। তবে শুধু আর্থিক সংস্থানের অভাবে আমার এ মনোবাসনা পূরণ হচ্ছে না। তবে আমি এখনো এ পরিকল্পনা থেকে সরে আসিনি। আরো কিছুদিন চেষ্টা করে যাব। তারপরও যদি প্রযোজক না পাই তাহলে হয়তো এ পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে।

এদিকে নতুন ধারাবাহিক নাটক নির্মাণেরও কথা ছিল আপনার। সেটাও কবে হবে জানতে চাইলে বলেন, ভালো কাজের পরিকল্পনা থাকলেও অর্থনৈতিক কারণেই ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করতে পারছি না। এখানেও সিন্ডিকেটের প্রভাব রয়েছে। যতদিন এ সিন্ডিকেট প্রথা থাকবে, ততদিন আমার মতো মানুষেরা কোনো পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করতে পারবে না।

তো অভিনয় করছেন নিয়মিতই বলতেই অরুণা জানালেন, অভিনয়ের কাজটি সুচারুভাবেই করে যাচ্ছি। বর্তমানে সাঈদ তারেক ও গোলাম সোহরাব দোদুলের দুটি নতুন ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছি। মাসের বেশিরভাগ সময় এ নাটক দুটির শুটিং করতে হচ্ছে। এ ছাড়া আগের শুটিং করা নাটকও টিভিতে প্রচার হচ্ছে। নতুন ধারাবাহিকের কাজ নিয়েও কথা হচ্ছে। নাটকে আমি নিয়মিত আছি।

যাত্রার ঘরে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। সেই যাত্রা নিয়ে নতুন করে কাজ করার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইচ্ছা তো সব সময়ই আছে। আমি যাত্রা পরিবারের সদস্য। আমার বাবা-মা এই শিল্পের পথিকৃৎদের মধ্যে অন্যতম। তাদের দেখানো পথ ধরে আমিও যাত্রায় কাজ করেছি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে চরম সঙ্কটে নিপতিত হয়েছে এ শিল্পটি। মানিকগঞ্জে যাত্রা নিয়ে নতুনভাবে কাজ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এখানেও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে মুখ থুবড়ে আছে পরিকল্পনাটি। যদি কাক্সিক্ষত পৃষ্ঠপোষকতা পাই তাহলে যাত্রা নিয়ে আবারও কাজ করব।

পরিশেষে জানতে চাই দেশে কি এখন মানসম্মত ছবি নির্মিত হচ্ছে? যা দেখে দর্শক হলমুখী হবেন? প্রশ্নের উত্তরে অরুণা বিশ্বাস একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লেন। তারপর বললেন, তারপরেও এখনো হতাশাজনক কোনো অভিজ্ঞতায় পড়িনি। সেন্সর বোর্ডে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেখেছি বোর্ডের অন্য সদস্যরা বেশ পরিচ্ছন্ন মনের অধিকারী। পাশাপাশি ইতিবাচক মানসিকতারও। যার কারণে সুন্দর একটি টিমওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করছি। যেহেতু ছবি নির্মাণ অনেক কমে গেছে তাই আমরা সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই ছবি দেখছি এবং ছাড়পত্র দিচ্ছি। তবে রাষ্ট্রবিরোধী কিংবা ধর্মবিরোধী বক্তব্যসহ কোনো ছবিকে আমরা ছাড়পত্র দেই না। কিছু কিছু ছবির গল্প ভালোলাগার মতো। যদি দর্শক বুঝতে পারেন তাহলে নিশ্চয়ই সিনেমা হলে গিয়ে দেখবেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর