এসএমই খাতে আমরা ‘মিরাকল’ ঘটাতে পারি

হাওর বার্তঃ কয়েকদিন আগে মন্ত্রিসভায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালার খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। নীতিমালাটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প; যাকে আমরা ‘এসএমই’ বলি তার ওপর। যুগান্তরেই দেখলাম ওই নীতিমালায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের নানা দিকের ওপর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যে ছয়টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে; তার মধ্যে প্রথমটিই হচ্ছে বিনিয়োগকারীরা কীভাবে অর্থ পাবেন সেই বিষয়টি। প্রতিবেদন/নিবন্ধটি পড়ে মনে হয়েছে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের নানা সমস্যা সমাধানের সূত্র খোঁজা হয়েছে ওই নীতিমালায়।

বলা বাহুল্য, দেশের বিদ্যমান বাস্তবতার আলোকেই তৈরি হয়েছে এই খসড়া নীতিমালা। বিদ্যমান বাস্তবতা কী? ‘জবলেস গ্রোথ’, বেকারত্ব, অর্ধবেকারত্ব, কর্মসংস্থানহীনতা, বৈষম্য, অঞ্চলে-অঞ্চলে বৈষম্য ইত্যাদি ইত্যাদি। মনে করা হচ্ছে, চিরায়ত পন্থায় দেশের বেকারত্ব দূর করা প্রায় অসম্ভব। বড় বড় শিল্প, মেগা প্রকল্প অবকাঠামো হিসেবে কাজ করবে, এরা খুব বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে না। অতএব দরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বড় ধরনের উদ্যোগ; যাতে অংশগ্রহণ করবে দেশের তথা গ্রাম-শহরের হাজার হাজার উদ্যোক্তা। এর মধ্যে অবশ্যই থাকবে নারী উদ্যোক্তা।

কথা এখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গঠনের। যত কথাই বলি না কেন, এর জন্য লাগবে ঋণ-অর্থায়ন (ফিন্যান্সিং)। একথা ভেবেই নীতিমালার খসড়ায় যথাযথ গুরুত্বসহকারে অর্থায়নের কথা বলা হয়েছে। আমি যতটুকু জানি, এ অর্থায়নের ব্যবস্থা ব্যাংকগুলো করে রেখেছে কমপক্ষে ৮-১০ বছর আগেই। বাংলাদেশ ব্যাংক (কেন্দ্রীয় ব্যাংক) অনেক আগেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে তোলার জন্য যে ঋণের দরকার; তার ওপর একটা বিস্তারিত নীতিমালা তৈরি করেছে।

বস্তুত এই ঋণ নীতিমালায় চার ধরনের শিল্প/উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প/উদ্যোগ। প্রতিটি শিল্পের সংজ্ঞা নিরূপিত করা আছে। কী কী শর্ত পূরণ হলে একে কী ধরনের শিল্প/উদ্যোগ বলা হবে, তা নির্ধারিত আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে জমি ও ভবন বাদে কত টাকার স্থায়ী সম্পদ থাকতে হবে, কত সংখ্যক জনবল থাকতে হবে; তার উল্লেখ আছে ওই ঋণ নীতিমালায়।

কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের/উদ্যোগের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনটি ভাগ আছে। উৎপাদন, সেবা এবং ব্যবসা। এদের জন্য আলাদা আলাদা বিবেচনায় ঋণ দেয়া হবে। ঋণের মেয়াদ, ঋণের সীমা, সুদের হার, মর্টগেজ, পুনঃঅর্থায়ন (রি-ফিন্যান্সিং), ঋণগ্রহীতা নির্বাচন থেকে শুরু করে যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় এ ঋণ নীতিমালায় উল্লিখিত আছে। বলাবাহুল্য, এসবই শিল্প নীতি-২০১০ এর আলোকে তৈরি।

কয়েকদিন আগে মন্ত্রিসভায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প/উদ্যোগের যে নীতিমালা অনুমোদিত হয়েছে, মনে হয় তা নতুন উদ্যোগ নয়; বরং সংশোধনমূলক। সে যাই হোক, আমার বলার কথা ভিন্ন। আমাদের নীতিমালা আছে অনেক; কিন্তু তার বাস্তবায়নের অবস্থা কী? যেমন আইন অনেক কিন্তু তার সঠিক বাস্তবায়নের দারুণ ঘাটতি, তেমনি অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিধি-বিধান অনেক, সার্কুলার অনেক কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এসবের বাস্তবায়নের চিত্র কী; সেটাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা দরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, প্রতিটি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বছরের প্রথমেই ‘এসএমই’ ফিন্যান্সিংয়ের বাজেট তাদের কাছে জমা দিতে হবে। মোট বিতরণযোগ্য ঋণের কমপক্ষে ২০ শতাংশ হতে হবে ‘এসএমই’ ঋণ এবং আগামী ৫ বছরের মধ্যে তা হবে ৩০ শতাংশ। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদাভাবে বাজেটের কথা বলা আছে।

তারপর এও বলা আছে, ওই ‘এসএমই’ ঋণের কত শতাংশ উৎপাদন খাতে যাবে, কত শতাংশ যাবে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে অথবা ব্যবসা খাতে। এতসব বিস্তারিত নীতিমালার আলোকে বিচার করা দরকার এ খাতের অগ্রগতি কী?

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ‘এসএমই’ খাতে আমাদের অগ্রগতি মোটেই সন্তোষজনক নয়। একটা উদাহরণ দিই। এটি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের। নির্দেশ দেয়া হল, ওই ব্যাংকের সব শাখাকে কমপক্ষে ১০ জন নারী উদ্যোক্তাকে এক বছরের ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। মনিটরিং শুরু হল। ১০ জন কোথায়, একজন-দু’জনের খবরও আসছে না। কী সমস্যা? সমস্যার অন্ত নেই।

বলা হল, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এমন সব নারী উদ্যোক্তা আসছেন; যারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতে চাইছেন। তারা মনে করছেন, এটি একটি সরকারি ‘সুবিধা’। একজনের উদাহরণ এলো। ওই নারী উদ্যোক্তা ঋণ নিয়ে আমেরিকা চলে যান। তার বাড়িভাড়া থেকে কিছু টাকা উদ্ধার হলেও এখনও ওই ঋণের ভবিষ্যৎ অমীমাংসিত।

গ্রামাঞ্চল থেকে খবর পাওয়া গেল, এসব ঋণের ‘ফান্ড’ ডাইভারসন হওয়ার আশঙ্কা বেশি। জমি কেনা, বাড়ি বানানো, ছেলেকে বিদেশে পাঠানো ইত্যাদিতেই তথাকথিত উদ্যোক্তাদের ঝোঁক বেশি। মাঠপর্যায়ে যারা কাজ করছেন, যারা ঋণ দেবেন, ঋণের জন্য সুপারিশ করবেন; তারা যদি এমন অনুৎসাহজনক খবর পাঠান, তাহলে কোনো কর্তৃপক্ষের পক্ষেই কোনো কিছু নিয়ে এগোনো যায় না। এখন প্রশ্ন আছে একটা।

যেসব সমস্যার কথা তারা বলছেন, তার কতটা সত্যি আর কতটা বানানো। বানানোর কারণ আছে। অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, ব্যাংক কর্মীরা সাধারণত ‘রিটেইল ব্যাংকিং’ পছন্দ করেন না। এতে ঝামেলা বেশি, কাজ বেশি, কাগজপত্র বেশি। এসব মনিটরিং করা খুবই কঠিন। যে জনবল দরকার, তা অনেক ব্যাংকেরই নেই। ইদানীং তো আরও কঠিন। ব্যাংকে ব্যাপক দক্ষতা বৃদ্ধির কথা বলে অফিসারদের চাকরি যাচ্ছে।

দু’জনের কাজ একজনকে করতে হচ্ছে। ছোট ছোট ঋণে আরেক সমস্যা দায়বদ্ধতা। বহু অফিসারের সামান্য সামান্য ত্রুটির জন্য নানা ধরনের শাস্তি হচ্ছে। অবসরের পর তারা প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুয়িটির টাকা পান না- অডিটে আপত্তি আছে।

এসব নানাবিধ কারণে ব্যাংকাররা ছোট ছোট ঋণে উৎসাহী নন। এজন্যই দেখা যায়, ব্যাংকগুলোয় বড় বড় ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। পাঁচ-সাত শত কোটি, হাজার-পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণ দিন দিন বাড়ছে; যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা আছে। বস্তুত ছোট ঋণ গ্রহীতাদের কোনো জায়গা ব্যাংকে নেই। বেসরকারি ব্যাংক তো ব্যস্ত ব্যবসায়ীদের বড় বড় ঋণ দিতে। গ্রামাঞ্চলে তাদের শাখাও নেই। যা আছে সরকারি ব্যাংকের।

সেখানে কর্মী নেই। গ্রামের শাখায়, এমনকি উপজেলা শহর, জেলা শহরের শাখাতেও কেউ কাজ করতে চায় না। এসব হচ্ছে বাস্তব সমস্যা। বড়দের ঋণ দিলে তা মনিটরিং করা সহজ। একজন ‘কাস্টমারই’ এক-দুই হাজার কোটি অথবা এক-দুই-পাঁচ কোটি টাকা। ঝামেলা অনেক কম। বলা বাহুল্য, এসব কারণেই দেশে ‘এনজিও’র সংখ্যা বাড়ে, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের’ সৃষ্টি হয়। সরকারি ব্যাংক যা করতে উৎসাহী নয়, তা করেই এসব প্রতিষ্ঠান বড় হয়েছে এবং হচ্ছে। এ কারণেই ‘পল্লী কর্মসহায়ক সংস্থার (পিকেএফ) জন্ম দেয়া হয়েছে।

মজার কথা হচ্ছে, এতসব সত্ত্বেও ব্যাংকগুলো যখন ‘এসএমই’র ওপর তথ্য সরবরাহ করে; তখন তারা ‘উইনডোড্রেসিং’র আশ্রয় নেয়। প্রথম কথা, এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম রক্ষা হয়; দ্বিতীয় কথা, ‘এসএমই’ ফিন্যান্সিংয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনেক নিয়ম-নীতিমালা থাকে শিথিল। বাস্তব অবস্থা বোঝার জন্য আরেকটি উদাহরণ দিই। ঢাকা শহরেই বিভিন্ন ব্যাংকের শত শত শাখা আছে।

এসব শাখার আশপাশেই শত শত দোকান, প্রতিষ্ঠান, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান আছে। যে কেউ জরিপ করে দেখতে পারেন, এদের কয়জনের ব্যাংক ঋণ আছে? এরা ঋণের জন্য ব্যাংকে যায় কিনা? গেলেও ব্যাংক তাদের সাদরে গ্রহণ করে কিনা? এই জরিপটি করলে সবাই বুঝতে পারবেন বিদ্যমান বাস্তবতাটা কী?

আজকাল গ্রামাঞ্চলে শত শত, হাজার হাজার যুবক-যুবতী আছে; যারা সামান্য একটু আর্থিক সহায়তা পেলে অনেক সৃজনশীল কাজ করতে পারে। আমি দেখেছি, অনেক অল্পবয়সী মেয়ে আছে; যারা চায় একটা-দুইটা ‘সিউইং’ মেশিনের টাকা, যাতে সেলাই কাজ করে সংসার চালাতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে লেখাপড়াও করতে পারে। মোটরসাইকেল গ্রামাঞ্চলে বা শহরে এখন চলাচলের একটা মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

অটোরিকশা, ভ্যান গাড়ি, ভটভটিয়া, সাইকেল ইত্যাদি এখন গ্রামাঞ্চলে লাখ লাখ। শত শত প্রকারের দোকান গ্রামাঞ্চলে। যেখানেই চৌরাস্তা, সেখানেই নানা ধরনের দোকান/প্রতিষ্ঠান। যে কেউ জরিপ করে দেখতে পারেন, এর মধ্যে কতজন ব্যাংক ঋণ নিয়েছে। এটা বাদই দিলাম। কতজন ব্যাংকে আমানত রাখে?

আমি বুঝতে পারছি, আলোচনাটিতে নেতিবাচক দিক উঠে আসছে। কিন্তু উপায় কী? অথচ ‘এসএমই’ খাতে আমরা ‘মিরাকল’ ঘটাতে পারি। যে তরুণ ছেলেরা চট্টগ্রাম থেকে সমুদ্রপথে নৌকায় করে মালয়েশিয়ায় যেতে চায়, যে ছেলেরা সাত দেশ পেরিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যেতে গিয়ে মারা পড়ছে; তারা দেশে কিছু করতে পারছে না কেন? এর কারণ কী- খোঁজে বের করা দরকার।

ব্যাংক থেকে দুই-চার লাখ, পাঁচ-দশ লাখ, বিশ-পঞ্চাশ লাখ টাকা নিয়ে কিছু একটা করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। কাগজপত্র তৈরি, কোলেটারেল দেয়া, নানা স্থানে তদবির করতে করতে মানুষের ‘জান’ শেষ। বস্তুত কী সরকারি ব্যাংক, কী বেসরকারি ব্যাংক, ধনীদের একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এসবের অনেকটিতে চলছে ‘অর্গানাইজড রোবারি’ অর্থাৎ প্রচলিত আইন-কানুনের মধ্যে ডাকাতি। নিয়ম মেনে, আনুষ্ঠানিকতা মেনে ব্যাংকের টাকা মেরে দেয়া।

এমতাবস্থায় কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণের ব্যবস্থা কে করবে? কথা আরও আছে। ভালো ভালো উদ্যোগ অতীতে নষ্টও হয়েছে। এক সময় অটোরিকশায় ব্যাংক লোন ছিল। সেই টাকা ফেরত এলো না। কারণ যারা ঋণ নিয়েছে অটোরিকশার নাম করে, তাদের ভুঁইফোঁড় সংগঠন আছে। কারা এর সদস্য, কারা ঋণের প্রকৃত সুবিধাভোগী, তা কেউ বুঝল না। তাঁতিদের ঋণ দেয়া হল। তথ্য খুব ভালো এলো।

হাজার হাজার তাঁতিকে ঋণ দেয়া হল। সেই টাকা ফেরত এলো না। তাঁতিদের ঋণ নিল অ-তাঁতিরা। এটা সরকারি একটা সুবিধা। কৃষিঋণেরও একই অবস্থা। কার ঋণ কে নেয়, কেউ জানে না। ব্যাংকের টাকা আর আদায় হয় না। কত বলব, ছোট ছোট গৃহনির্মাণ ঋণ, ছোট ছোট পরিবহন ঋণ- এসবের টাকা ফেরত আসে কম। অবশ্য বড়রা কী সাধু? না, তাদের অবস্থাও একই রকম। তাহলে করণীয় কী?

করণীয় হচ্ছে, ঋণপ্রবাহকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা। ব্যবসায়িক বিবেচনায় যাতে ঋণ দেয়া যায়, তার ব্যবস্থা করা। ব্যাংক কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো। তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। এসব করতে হবে কারণ ‘এসএমই’ ফিন্যান্সিং ভরসা। বড় বড় প্রকল্প যে কর্মসংস্থান করতে পারছে না, এটা এখন স্পষ্ট। বড় বড় প্রকল্প যন্ত্রনির্ভর, অনেকগুলোই অটোমেটিক যন্ত্রপাতিতে চলে। এটা দক্ষতা ও প্রতিযোগিতার জন্যই।

বেকারত্বের অবস্থা, বৈষম্য, চাকরিচ্যুতি ইত্যাদির প্রেক্ষাপটে শত বাধা-বিপত্তি ও সমস্যা সত্ত্বেও আমাদের ‘এসএমই’কেই ‘বাহন’ করতে হবে। দক্ষতা বাড়াতে হবে। আগামী দিনে এর প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়বে। মেশিন মানুষকে বেকার করে দিচ্ছে। স্ব-উদ্যোগে কিছু একটা করা ছাড়া গতি নেই।

চাকরি করে অবসরকালীন টাকা দিয়ে বাঁচার চেষ্টাও বৃথা হচ্ছে। ব্যাংক কোনো সুদ দেবে না, সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করবে না, শেয়ারবাজারের দিকে পা রাখা যাবে না। এমতাবস্থায় ‘এসএমই’ ভরসা। যেসব সংগঠনের অভিজ্ঞতা অন্তত কাগজপত্রে ভালো, তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়া যায়। বড় শিক্ষা দরকার আরেকটি- ‘ব্যাংক লোন’ যে কোনো সরকারি ‘সুবিধা’ নয়, এ বিষয়টি সবাইকে বোঝাতে হবে; এই ‘লোন’ পরিশোধযোগ্য, এটা মনে রাখতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর