বিএনপি-জামায়াতের লোকদের নিয়েছেন কেন

হাওর বার্তাঃ সরকারের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, যারা ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত তাদের সবাইকে ধরুন। দেশ থেকে ক্যাসিনোর কালচার দূর করুন। লুটপাটের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। কিন্তু আমরা জানি আপনারা এটা করতে পারবেন না।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি (তথ্যমন্ত্রী) বলেছেন- আওয়ামী লীগের কোনো নেতা যিনি ক্যাসিনো চালাতেন তিনি নাকি প্রতি মাসে তারেক রহমানকে এক কোটি টাকা পাঠাতেন। আচ্ছা, আপনারা গত ১১ বছর ধরে ক্ষমতায়। সমস্ত প্রতিষ্ঠান আপনাদের হাতে। আপনারা যে যেখানে কোনো অন্যায় করুক বা না করুক, তাকে গ্রেফতার করে সাজা দিতে পারেন। আর একজন নেতা আপনার পরম শত্রু তারেক রহমানকে মাসে মাসে কোটি টাকা পাঠাচ্ছে আপনারা তখন কী বসে বসে আঙুল চুষছিলেন না অন্য কিছু চুষছিলেন।

তিনি বলেন, পত্রিকায় দেখলাম এইচটি ইমাম বলেছেন, যেসব লোক ধরা পড়ছে এরা কেউ পুরনো আওয়ামী লীগ নয়,এরা নতুন আওয়ামী লীগ, এরা সব বিএনপি-জামায়াত থেকে আসছে। আচ্ছা ভাই, প্রথমত বিএনপি-জামায়াতের লোকদের নিয়েছেন কেন? নিয়ে আবার বড় বড় পদে বসালেন কেন? বসিয়ে তাদের নিয়ে এ সব অনাচার করাইতেছেন কেন? দ্বিতীয়টা হল- যিনি বলতেছেন, আপনি কবে থেকে আওয়ামী লীগ করেন। আপনি খন্দকার মোশতাকের রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছেন। এখন আপনি হয়ে গেছেন বড় আওয়ামী লীগার। আর যারা বিভিন্ন পদে আছে যুবলীগ, ছাত্রলীগের তারা হয়ে গেছেন নব্য আওয়ামী লীগার। নিজেদের দায় এড়ানোর জন্য অযৌক্তিক কোনো কথা বলা উচিত না।

খালেদা জিয়াকে ‘অন্যায়ভাবে’ মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে অভিযোগ করে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবিও জানান নজরুল ইসলাম খান।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মঞ্জরুল ইসলাম মঞ্জুর পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, যুগ্ম-মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, শ্রমিক দলের সালাহউদ্দিন সরকার, হুমায়ুন কবির খান, ফিরোজ-উজ-জামান, মোস্তফিজুল করীম মজুমদার, মেহেদী আলী খান, ফজুলর হক মোল্লা, খন্দকার জুলফিকার মতিন, সুমন ভুঁইয়া, মাহবুবুল আলম বাবুল, শাহ আলম রাজা, বদরুল আলম সুরজ, আনিসুর রহমান হীরা প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর