তীব্র উত্তেজনায় বৃটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশন বসছে আজ

হাওর বার্তাঃ স্থগিতাদেশকে বেআইনি ঘোষণার পর তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে এগারটায় আবার বসছে বৃটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশন। এ জন্য এমপি ও লর্ডসরা পার্লামেন্টে ফিরছেন। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জাতিসংঘে সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে অবস্থান করছেন নিউ ইয়র্কে। সেখান থেকে তার আগেভাগেই ফিরে আসার কথা। এর আগে তিনি ৫ সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত করেন। তার এ আদেশকে বেআইনি বলে মঙ্গলবার রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট লেডি হ্যালে। তারপর থেকে বৃটেনের রাজনীতিতে এক ঝড়ো হাওয়া বইছে। হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বারকাউ তাৎক্ষণিকভাবে  বুধবার সকাল সাড়ে এগারটায় অধিবেশন আহ্বান করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বরিস জনসনের পদত্যাগ দাবি জোরালো হয়েছে। বিরোধী লেবার দলের প্রধান জেরেমি করবিন তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পদে তিনি অযোগ্য। তবে পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বরিস জনসন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে ‘দৃঢ়তার সঙ্গে দ্বিমত’ পোষণ করলেও এর প্রতি সম্মান দেখানোর কথা বলেছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তিনি ফোনে কথা বলেছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে। তবে কি কথা হয়েছে তাদের সে বিষয়ে জানা যায়নি। এছাড়া মন্ত্রীপরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ৩০ মিনিটের ফোনকলে। এতে সভাপতিত্ব করেছেন বরিস জনসন। হাউজ অব কমন্সের নেতা জ্যাকব রিস-মগ মন্ত্রীপরিষদকে বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা ‘সাংবিধানিক অভ্যুত্থানের’ সমান। ওদিকে আজকের পার্লামেন্ট অধিবেশনে জরুরি প্রশ্ন ও মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি দেয়ার পূর্ণাঙ্গ সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন জন বারকাউ।
এখন কি করবেন জনসন?
বরিস জনসনের মন্ত্রীপরিষদের একজন সদস্য আজকের পার্লামেন্ট অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এ প্রক্রিয়ায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন। ওদিকে আজ দেশে ফেরার চেষ্টা করতে পারেন জনসন। তিনি সেই ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পাদনের জোর প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। বিরোধী দলগুলো তার পদত্যাগ দাবি করেছে। ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে তাদের প্রশ্নের উত্তর দাবি করেছে সরকারের কাছে। এ সময় তিনি আইন লঙ্ঘনের মতো গুরুতর অভিযোগের মুখে পড়তে পারেন। এর প্রেক্ষিতে বর্তমান অবস্থায় ডাউনিং স্ট্রিট কি করছে তা বোঝা কঠিন। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে জনসন বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছেন, তার সরকারের নীতি তুলে ধরতে ১৪ই অক্টোবর রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বক্তব্য দেয়ার জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, তিনি পার্লামেন্ট স্থগিত করে ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় এমপিদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর