বালিশ-পর্দাকাণ্ডকে হাওয়া ভবনের লুটপাটের সঙ্গে মেলালে চলবে না

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বালিশ-পর্দাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপি আমলের হাওয়া ভবনের লুটপাটকে মেলালে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বালিশ-পর্দাকাণ্ডকে ‘ছিঁচকে কাজ’ বলেও এসময় আখ্যায়িত করেন তিনি।

শনিবার দুপুরে ধানমণ্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত বিফ্রিংয়ে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স হলেও রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্রে বালিশকাণ্ড ও ফরিদপুর মেডিকেলে পর্দাকাণ্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের ছিঁচকে কাজগুলো যারা করেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা কিন্তু কোনো এমপি কিংবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী নন।

তিনি বলেন, এখানে তো হাওয়া ভবনের মত লুটপাটের বিষয় নেই। যারা এমন অভিযোগ করেন, তারা তো দেশটাকেই লুটপাট করে খেয়েছেন। এখন কিন্তু সরকারের কোনো বিকল্প সেন্টার নেই। লুটপাটের কোনো ভবন এই সরকারের আমলে নেই, এটা আমি দাবি করে বলতে পারি।’

‘বালিশ আর পর্দার সঙ্গে তো হওয়া ভবনের লুটপাটের বিষয়কে মেলালে তো চলবে না।’

‘জাতীয় পার্টির বিভক্ত নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে এক সময় আমাদের জোট ছিল, তাদের সঙ্গে আমাদের নির্বাচনী জোট থাকলেও আদর্শিক কোনো ঐক্য নেই।

তিনি আরও বলেন, এখন জাতীয় পার্টি বিরোধী দল। সত্যিকার অর্থের তারা বিরোধী দল হিসেবে শক্তিশালী থাকুক এটা আমরাও চাই। বিরোধী দল নিজেরাই যদি নিজেদের দ্বন্দ্বে দুর্বল হয়ে যায়, এখানে তো আমাদের কিছু করার থাকে না।

‘আমরা চাই এটা জাতীয় পার্টির ব্যাপারগুলো তারা নিজেরাই মীমাংসা করুক। এখানে প্রধানমন্ত্রীর কোনো দায়িত্ব নেই, জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর আমাদের তো দরকার নেই।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, জাতীয় পার্টিতে কী হয়েছে, আমাদের দেখার বিষয় নয়। জাতীয় পার্টি তো আওয়ামী লীগের কোনো শাখা সংগঠন নয় যে, এটা আওয়ামী লীগকে দেখতে হবে। এটা তাদের বিষয়, তারাই দেখবে।

পুলিশের ওপর একাধিকার হামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা জঙ্গি তৎপরতা একেবারে থেমে গেছে এমন দাবি আমরা কখনও করব না। এখানে ছোটখাট যে ঘটনাগুলো ঘটছে এগুলোকে আমরা মনে করি যে, এগুলো বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্তভাবে হলেও ওরা হয়তো টেস্ট কেস করছে, বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটানোর জন্য। ওরা বড় ধরনের কোনো প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন অশঙ্কা করছি। কাজেই আমরা সতর্ক আছি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বি এম মোজাম্মেল হক, উপদফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর