সৌদি পুরুষদের জন্য বাংলাদেশসহ চারটি দেশের নারীদের বিয়ে করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আইন প্রণয়ন করছে সৌদি সরকার। যে দেশগুলোর নারী বিয়েতে নিষেধাজ্ঞা আসছে সেগুলো হল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, কানাডা, চাদ ও মায়ানমার। সেই সাথে কোনো নারী বা পুরুষ তার থেকে ২৫ বছরের ছোট বা বড় কাউকে বিয়ে করতে পারবেন না। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এই প্রতিবেদন এই খবর জানা যায়। সৌদি গেজেট মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে। পত্রিকাটি জানায়, এখন থেকে দেশের কোনো পুরুষ সব মুসলিম দেশের নারীকে বিয়ে করতে পারবে না। তবে কেউ বেশি আগ্রহী হলে তাকে ওই নারীর যাবতীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। মক্কা পুলিশের পরিচালক মেজর জেনারেল আসসাফ আল-কুরেশি সৌদি গেজেটকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, এই চারটি দেশের প্রায় পাঁচ লাখ নারী বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। তবে এই চারটি দেশের নারীদের বিয়ে করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও অন্য যেকোনো দেশের নারীদের বিয়ে করার ক্ষেত্রেও কঠোর নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে সৌদি পুরুষদের। তবে প্রক্রিয়াটি অনেক জটিল হওয়ায় তাতে অনেক সময় লেগে যাবে। যার ফলে এই প্রক্রিয়া পেরিয়ে কেউ আর ওই সব দেশের নারীকে বিয়ে করার ধৈয্য রাখবেন না বলে মনে করেন আসসাফ কোরাইশি। ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী দ্বিতীয় বা ততোধিক বিয়ে করার জন্য প্রথম স্ত্রী’র কাছ থেকে সৌদি পুরুষরা কোনো ধরনের অনুমতি গ্রহণ করেন না। কিন্তু নতুন এই আইনের কারণে সৌদি আরব ছাড়া অন্য যেকোনো দেশের নারীদের বিয়ে করতে হলে সেই নারীর ব্যক্তিগত জীবনের সমস্ত তথ্য প্রথম স্ত্রীকে জানিয়ে অনুমতি নিতে পারলেই তাকে বিয়ে করতে পারবেন সৌদি পুরুষরা। মুলত কয়েকদিন আগে দেশটির এক পুরুষ মরোক্কোর এক নারীকে বিয়ে করার ব্যপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করলেও শেষ পর্যন্ত সরকারের হস্তক্ষেপে তা আটকে যায়। তবে নতুন এই আইন নিয়ে খোদ সৌদিতেই দেখা দিয়েছে বিতর্ক। ইসলাম যেখানে খ্রীস্টান, ইহুদি নারীকেও বিয়ের অনুমতি দিয়েছে সেখানে কেবল দেশের ভিন্নতার কারণে বিয়ের প্রতি নিষেধাজ্ঞাকে অযৌক্তিক মনে করছেন অনেকে।