অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী আগামী বছরের পয়লা জানুয়ারি থেকে সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বেতন পাবেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী বলেন, অষ্টম পে-স্কেলের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার আগে যেসব ক্যাডার সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পেয়েছেন, তাদের এ সুবিধা বহাল রাখা হবে, এটা বাতিল করা হবে না। প্রজ্ঞাপন জারির আগে বাকি ক্যাডাররা সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল নিয়ে নিতে পারেন। তবে প্রজ্ঞাপন জারির পর সবকিছু নতুন নিয়মে চলবে। তিনি বলেন, এবারের বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল থাকছে না। এটা উঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এটার আর প্রয়োজন পড়বে না। বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর কাছে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে ৮টি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো— অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলের ধাপ ২০টির পরিবর্তে ১৫ থেকে ১৬টিতে নির্ধারণ করা। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য চার বছর চাকরি পূর্তির পর সিলেকশন গ্রেড ও ৮, ১২, ১৫ বছর চাকরি পূর্তির পর ১ম, ২য় ও ৩য় টাইম স্কেল প্রদান করা। পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে পাঁচ বছর চাকরি পূর্তিতে নির্বাহী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে, আট বছর চাকরি পূর্তিতে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পদে, ১৫ বছর চাকরি পূর্তিতে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে, ২০ বছর চাকরি পূর্তিতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে এবং ২৫ বছর চাকরি পূর্তিতে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদের বেতন স্কেল প্রদান বা পদোন্নতির বিধান রাখা। দাবিতে উল্লেখ করা হয়- বেতন বৈষম্য দূর করতে সব পদোন্নতির ক্ষেত্রে একই পদ্ধতিতে বেতন স্কেল পরিবর্তন করতে হবে। প্রাথমিক নিযুক্তিতে ২টি অতিরিক্ত বর্ধিত বেতন অথবা মূল বেতনের ১০ শতাংশ টেকনিক্যাল ভাতা প্রদান। সরকার নিয়ন্ত্রিক সব বিদ্যুৎ কোম্পানিসহ বিভিন্ন সংস্থায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সমন্বিত একই বেতন স্কেল এবং পদোন্নতিসহ অন্যান্য সুবিধা, পলিটেকনিক শিক্ষকসহ টিভিইটি শিক্ষকদের জন্য উৎসাহজনক পৃথক বেতন স্কেল, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষকদের অধিকতর গুরুত্ব দেয়ার জন্য এসএসসি (ভোক) শিক্ষকসহ সব বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অষ্টম জাতীয় স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা প্রদান।