যথার্থ নেতৃত্ব আসে সংগ্রামের মাধ্যমে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বিদেশি সাংবাদিক হিসেবে সম্ভবত প্রথম বঙ্গবন্ধুর একান্ত সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন বিবিসির তৎকালীন সাংবাদিক ডেভিড ফ্র্রস্ট। ১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি নিউইয়র্ক টেলিভিশনের ‘ডেভিড ফ্রস্ট প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়। খোলা কাগজের পাঠকদের জন্য আজ সাক্ষাৎকারটির প্রথম পর্ব প্রকাশিত হলো-

ডেভিড ফ্রস্ট : সে রাতের কথা বলুন, যে রাতে একদিকে আপনার সঙ্গে চলছিল আলোচনা এবং তার আড়ালে পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদ্যোগ নিচ্ছিল…

শেখ মুজিবুর রহমান : সে সন্ধ্যায় আমার বাড়ি পাকিস্তান সামরিক জান্তার কমান্ডো বাহিনী ঘেরাও করেছিল। ওরা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। প্রথমে ওরা ভেবেছিল, আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে ওরা আমায় হত্যা করবে এবং প্রচার করে দেবে যে, ‘তারা যখন আমার সঙ্গে রাজনীতিক আপোসের আলোচনা করছিল, তখন দেশের চরমপন্থীরাই আমাকে হত্যা করেছে।’ আমি বাড়ি থেকে বেরুনো নিয়ে চিন্তা করলাম। আমি স্থির করলাম, আমি মরি, তবু আমার প্রিয় দেশবাসী রক্ষা পাক।

ডেভিড ফ্রস্ট : আপনি তো কলকাতা চলে যেতে পারতেন?
শেখ মুজিবুর রহমান : আমি ইচ্ছা করলে যে কোনো জায়গায় যেতে পারতাম। কিন্তু আমার দেশবাসীকে পরিত্যাগ করে আমি কেমন করে যাব? আমি তাদের নেতা। আমি সংগ্রাম করব। মৃত্যুবরণ করব। পালিয়ে যাব কেন? দেশবাসীর কাছে আমার আহ্বান ছিল তোমরা প্রতিরোধ গড়ে তোল।

ডেভিড ফ্রস্ট : আপনার সিদ্ধান্ত অবশ্যই সঠিক ছিল। কারণ এই ঘটনাই বিগত ৯ মাস ধরে বাংলাদেশের মানুষের কাছে আপনাকে তাদের একটি বিশ্বাসের প্রতীকে পরিণত করেছে। আপনি এখন তাদের কাছে প্রায় ঈশ্বরবৎ।
শেখ মুজিবুর রহমান : আমি তা বলি না। কিন্তু এ কথা সত্য, তারা আমাকে ভালোবাসে। আমি আমার বাংলার মানুষকে ভালোবেসেছিলাম। আমি তাদের জীবনকে রক্ষা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হানাদার বর্বর বাহিনী আমাকে সে রাতে আমার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করল। ওরা আমার নিজের বাড়ি ধ্বংস করে দিল। ওরা গ্রামে ফৌজ পাঠিয়ে আমার বাবা-মাকেও বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে তাদের চোখের সামনে সে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল। বাবা-মার আর কোনো আশ্রয় রইল না। কিন্তু আমি জানতাম, আমাদের সংগঠনের শক্তি আছে। আমি একটি শক্তিশালী সংগঠনকে জীবনব্যাপী গড়ে তুলেছিলাম। জনগণ তার ভিত্তি। আমি জানতাম, তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। আমি তাদের বলেছিলাম, তোমরা প্রতি ইঞ্চিতে লড়াই করবে। আমি বলেছিলাম, হয়তো এটাই আমার শেষ নির্দেশ। মুক্তি অর্জন না করা পর্যন্ত তাদের লড়াই করতে হবে। লড়াই তোমাদের চালিয়ে যেতে হবে।

ডেভিড ফ্রস্ট : আপনাকে ওরা ঠিক কীভাবে গ্রেপ্তার করেছিল? তখন তো রাত ১-৩০ মি. ছিল? তখন কি ঘটল?
শেখ মুজিবুর রহমান : ওরা প্রথমে আমার বাড়ির ওপর মেশিনগানের গুলি চালিয়েছিল। এই যেটা দেখছেন, এটা আমার শোবার ঘর। আমি এই শোবার ঘরেই তখন বসেছিলাম। এদিক থেকে ওরা মেশিনগান চালাতে আরম্ভ করে। তারপরে এদিক-ওদিক সবদিক থেকে গুলি ছুড়তে আরম্ভ করে। জানালার উপর গুলি চালায়।

ডেভিড ফ্রস্ট : এগুলো সব তখন ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল?
শেখ মুজিবুর রহমান : হ্যাঁ, সব ধ্বংস করেছিল। আমি তখন আমার পরিবার পরিজনের সঙ্গে ছিলাম। একটা গুলি আমার শোবার ঘরে এসে পড়ে। আমার ছয় বছরের ছোট ছেলেটি বিছানার ওপর তখন শোয়া ছিল। আমার স্ত্রী এই শোবার ঘরে দুটি সন্তান নিয়ে বসেছিলেন।

ডেভিড ফ্রস্ট : পাকিস্তান বাহিনী কোন দিক দিয়ে ঢুকেছিল?
শেখ মুজিবুর রহমান : সবদিক দিয়ে। ওরা একবার জানালার মধ্য দিয়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে। আমি আমার স্ত্রীকে দুটি সন্তানকে নিয়ে বসে থাকতে বলি। তারপর তার কাছ থেকে উঠে বাইরে বেরিয়ে আসি।

ডেভিড ফ্রস্ট : আপনার স্ত্রী কিছু বলেছিলেন?
শেখ মুজিবুর রহমান : না, কোনো শব্দ উচ্চারণের পরিস্থিতি তখন ছিল না। আমি শুধু তাকে একটি বিদায় সম্বোধন জানিয়েছিলাম। আমি দুয়ার খুলে বাইরে বেরিয়ে ওদের গুলি বন্ধ করতে বলেছিলাম। আমি বললাম, তোমরা গুলি বন্ধ কর। আমি তো এখানে দাঁড়িয়ে আছি। তোমরা গুলি করছ কেন? তোমরা কি চাও? তখন চারদিক থেকে ওরা আমার দিকে ছুটে এলো, বেয়নেট উদ্যত করে। ওদের একটা অফিসার আমাকে ধরল। ওই অফিসারই বলল, এই! ওকে মেরে ফেলো না? একটা অফিসারই ওদের থামিয়েছিল। ওরা তখন আমাকে এখান থেকে টেনে নামালো। ওরা পেছন থেকে আমার গায়ে, পায়ে বন্দুকের কুদো দিয়ে মারতে লাগল। অফিসারটা আমাকে ধরেছিল। তবু ওরা আমাকে ধাক্কা দিয়ে টেনে নামাতে লাগল। আমি বললাম, আমার তামাকের পাইপটা নিতে দাও ওরা একটু থামল। আমি ওপরে গিয়ে আমার তামাকের পাইপটা নিয়ে এলাম। আমার স্ত্রী তখন দুটি ছেলেকে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। আমাকে কিছু কাপড়-চোপড়সহ একটি ছোট স্যুটকেস দিলেন। তাই নিয়ে আমি নেমে এলাম। চারদিকে তখন আগুন। আজ এই যে দাঁড়িয়ে আছি, এখান থেকেই ওরা আমায় নিয়ে গেল।

ডেভিড ফ্রস্ট : ৩২নং ধানমণ্ডির বাড়ি থেকে সেদিন যখন আপনি বেরিয়ে এলেন, তখন কি ভেবেছিলেন, আর কোনো দিন আপনি এখানে ফিরে আসতে পারেন?
শেখ মুজিবুর রহমান : না, আমি তা কল্পনা করতে পারিনি। আমি ভেবেছি, এই শেষ। কিন্তু আমার মনের কথা ছিল, আজ আমি যদি আমার দেশের নেতা হিসেবে মাথা উঁচু রেখে মরতে পারি, তাহলে আমার দেশের মানুষের অন্তত লজ্জার কোনো কারণ থাকবে না। কিন্তু আমি ওদের কাছে আত্মসমর্পণ করলে, আমার দেশবাসী পৃথিবীর সামনে আর মুখ তুলে দাঁড়াতে পারবে না। আমি মরি, তাও ভালো। তবু আমার দেশবাসীর যেন মর্যাদার কোনো হানি না ঘটে।

ডেভিড ফ্রস্ট : আপনি একবার বলেছিলেন, ‘যে মানুষ মরতে রাজি, তুমি তাকে মারতে পারো না…
শেখ মুজিবুর রহমান : হ্যাঁ, আমি তাই মনে করি। যে মানুষ মরতে রাজি তাকে কেউ মারতে পারে না। আপনি একজন মানুষকে হত্যা করতে পারেন। সে তো তার দেহ। কিন্তু তার আত্মাকে কি আপনি হত্যা করতে পারেন? না, তা কেউ পারে না। এটাই আমার বিশ্বাস। আমি একজন মুসলমান। এবং একজন মুসলমান একবারই মরে। দু’বার নয়। আমি মানুষ। আমি মনুষ্যত্বকে ভালোবাসি। আমি আমার জাতির নেতা। আমি আমার দেশের মানুষকে ভালোবাসি। আজ তাদের কাছে আমার আর কিছু দাবি নেই। তারা আমাকে ভালোবেসেছে। সবকিছুকে বিসর্জন দিয়েছেন। কারণ, আমি আমার সবকিছুকে তাদের জন্য দিবার অঙ্গীকার করেছি। আজ আমি তাদের মুখে হাসি দেখতে চাই। আমি যখন আমার প্রতিটি দেশবাসীর স্নেহ-ভালোবাসার কথা ভাবি, তখন আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই।

ডেভিড ফ্রস্ট : পাকিস্তান বাহিনী আপনার বাড়ির সবকিছু লুট করে নিয়েছিল?
শেখ মুজিবুর রহমান : হ্যাঁ, আমার সবকিছুই ওরা লুট করেছে। আমার ঘরের বিছানাপত্র, আলমারি, কাপড়-সবকিছুই লুণ্ঠিত হয়েছে। মি. ফ্রস্ট, আপনি দেখতে পাচ্ছেন, এ বাড়ির কোনো কিছুই আজ নেই।

ডেভিড ফ্রস্ট : আপনার বাড়ি যখন মেরামত হয়, তখন এসব জিনিস লুণ্ঠিত হয়েছে, না পাকিস্তানিরা সব লুণ্ঠন করেছে?
শেখ মুজিবুর রহমান : পাকিস্তানি ফৌজ আমার সবকিছুই লুণ্ঠন করেছে। কিন্তু এই বর্বর বাহিনী আমার আসবাবপত্র, কাপড়-চোপড়, আমার সন্তানদের দ্রব্য-সামগ্রী লুণ্ঠন করেছে। তাতে আমার দুঃখ নেই। আমার দুঃখ ওরা আমার জীবনের ইতিহাসকে লুণ্ঠন করেছে। আমার ৩৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনের দিনলিপি ছিল। আমার একটি সুন্দর লাইব্রেরি ছিল। বর্বরেরা আমার প্রত্যেকটি বই আর মূল্যবান দলিলপত্র লুণ্ঠন করেছে। সবকিছুই পাকিস্তান হানাদার বাহিনী নিয়ে গেছে।

ডেভিড ফ্রস্ট : তাই আবার সেই প্রশ্নটা আমাদের সামনে আসে, কেন ওরা সবকিছু লুণ্ঠন করল?
শেখ মুজিবুর রহমান : এর কি জবাব দেব? আসলে ওরা মানুষ নয়। কতগুলো ঠগ, দস্যু, উন্মাদ, অমানুষ আর অসভ্য জানোয়ার। আমার নিজের কথা ছেড়ে দিন। তা নিয়ে আমার কোনো ক্ষোভ নেই। কিন্তু ভেবে দেখুন, ২ বছর ৫ বছরের শিশু, মেয়েরা কেউ রেহাই পেল না। সব নিরীহ মানুষকে ওরা হত্যা করেছে। আমি আপনাকে দেখিয়েছি সব জ্বালিয়ে দেওয়া, পোড়াবাড়ি, বস্তি। একেবারে গরিব, না-খাওয়া মানুষ সব বাস করত এই বস্তিতে। বস্তির মানুষ জীবন নিয়ে পালাতে চেয়েছে। আর সেইসব মানুষের ওপর চারদিক থেকে মেশিনগান চালিয়ে হত্যা করেছে।

ডেভিড ফ্রস্ট : মানুষ মানুষকে এমনিভাবে হত্যা করছে, তখন আপনার কী মনে হয়? মানুষ আসলে ভালো? কিংবা মনে করেন, মানুষ আসলেই খারাপ?
শেখ মুজিবুর রহমান : ভালো-মন্দ সর্বত্রই আছে। কিন্তু আমি মনে করি, পশ্চিম পাকিস্তানের এই ফৌজগুলো মানুষ নয়। এগুলো পশুরও অধম। কারণ একটা পশু আক্রান্ত হলেই আক্রমণ করে। তা নইলে নয়। পশু যদি মানুষের আক্রমণ করে মেরে ফেলে, তবু সে তাকে অত্যাচার করে না। কিন্তু এই বর্বরের দল আমার দেশবাসীকে কেবল হত্যা করেনি। দিনের পর দিন বন্দি মানুষকে অত্যাচার করেছে। ৫ দিন, ৭ দিন, ১৫ দিন ধরে নির্মম অত্যাচার করে তারপর হত্যা করেছে।

ডেভিড ফ্রস্ট : পাকিস্তানে বন্দি থাকাকালে ওরা আপনার বিচার করেছিল। সেই বিচার সম্পর্কে কিছু বলুন।
শেখ মুজিবুর রহমান : ওরা একটা কোর্ট মার্শাল তৈরি করেছিল। তাতে পাঁচজন ছিল সামরিক অফিসার। বাকি কয়েকজন বেসামরিক অফিসার।

ডেভিড ফ্রস্ট : আপনার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনলো ওরা?
শেখ মুজিবুর রহমান : অভিযোগ রাষ্ট্রদ্রোহিতা, পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, বাংলাদেশকে স্বাধীন করার ষড়যন্ত্র আরও কতো কি?

ডেভিড ফ্রস্ট : আপনার পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন? আত্মপক্ষ সমর্থনের উপায় ছিল?
শেখ মুজিবুর রহমান : সরকারের তরফ থেকে গোড়ায় এক উকিল দিয়েছিল। কিন্তু আমি যখন দেখলাম অবস্থাটা এমনি যে, যুক্তির কোনো দাম নেই। এ হচ্ছে বিচারের নামে প্রহসন মাত্র। তখন আমি কোর্টে নিজে দাঁড়িয়ে বললাম- ‘জনাব বিচারপতি, দয়া করে আমাকে সমর্থনকারী উকিল সাহেবকে যেতে বলুন। আপনারা বিলক্ষণ জানেন, এ হচ্ছে এক গোপন বিচার। আমি বেসামরিক লোক। আর আপনারা করছেন আমার কোর্ট মার্শাল!’ ইয়াহিয়া খান কেবল যে প্রেসিডেন্ট, তাই নয়। তিনি প্রধান সামরিক শাসকও। এ বিচারের রায়কে অনুমোদনের কর্তা তিনি। এ আদালতকে গঠন করেছেন তিনি।

ডেভিড ফ্রস্ট : তার হাতেই ছিল সব?
শেখ মুজিবুর রহমান : হ্যাঁ, সে ছিল দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। তার ইচ্ছাই সব।

ডেভিড ফ্রস্ট : তার মানে, আপনি আদালতে যাওয়া বন্ধ করেছিলেন?
শেখ মুজিবুর রহমান : তার কোনো উপায় ছিল না। আমি তো বন্দি।

ডেভিড ফ্রস্ট : হ্যাঁ, তা তো বটেই। আপনার ইচ্ছা-অনিচ্ছায় তো কোনো উপায় ছিল না। ওরা কি বিচার শেষ করে, কোনো রায় তৈরি করেছিল?
শেখ মুজিবুর রহমান : ৪ঠা ডিসেম্বর (১৯৭১) ওরা আদালতের কাজ শেষ করে। সঙ্গে সঙ্গে ইয়াহিয়া খান সব বিচারক রাওয়ালপিন্ডি ডেকে পাঠালো রায় তৈরির জন্য। সেখানে ঠিক করল, আমাকে ফাঁসি দেবে।

ডেভিড ফ্রস্ট : আর তাই সেলের পাশে কবর খোঁড়া দেখে আপনি বুঝতে পেরেছিলেন, ওরা ওখানেই আপনার কবর দেবে?
শেখ মুজিবুর রহমান : হ্যাঁ, আমার সেলের পাশে ওরা কবর খুঁড়ল। আমার চোখের সামনে।

ডেভিড ফ্রস্ট : আপনি নিজের চোখে দেখলেন?
শেখ মুজিবুর রহমান : হ্যাঁ, আমি আমার নিজের চোখে দেখলাম ওরা কবর খুঁড়ছে। আমি আপন মনে বললাম এ কবর আমার কবর। ঠিক আছে। কোনো পরোয়া নেই। আমি তৈরি আছি।

ডেভিড ফ্রস্ট : এমনি অবস্থায় আপনার কেমন করে কাটতো? আপনি কি প্রার্থনা করতেন।
শেখ মুজিবুর রহমান : এমন অবস্থায় আমার নির্ভর ছিল আমার বিশ্বাস, আমার জাতি, আমার পৌনে আট কোটি মানুষের প্রতি আমার বিশ্বাস। তারা আমায় ভালোবেসেছে ভাইয়ের মতো, পিতার মতো। আমাকে তাদের নেতা বানিয়েছে।

ডেভিড ফ্রস্ট : আপনি যখন দেখলেন, ওরা কবর খনন করেছে, তখন আপনার মনে কার কথা আগে জাগল? আপনার দেশের কথা? না, আপনার স্ত্রী-পুত্র পরিজনের কথা?
শেখ মুজিবুর রহমান : আমার প্রথম চিন্তা আমার দেশের জন্য। আমার যা কিছু সুখ-দুঃখ, সে তো আমার দেশেরই জন্য। আপনি তো দেখেছেন, আমাকে তারা কি গভীরভাবে ভালোবাসে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর