প্রশ্নপত্রে ‘সেফুদা’, রাজউকের শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সিফাত উল্লাহ মজুমদারকে (সেফুদা) অন্তর্ভুক্ত করে প্রশ্নপত্র তৈরি করায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের (স্কুল শাখা) ধর্ম শিক্ষক জাহিনুল হাসানকে। মঙ্গলবার কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বুধবার কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটির সদস্য ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এ বিষয়ে ধর্ম শিক্ষক জাহিনুল হাসানের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। তিনি দায়সারা জবাব দিয়েছেন। এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। তার আচরণ শিক্ষকসুলভ না হওয়ায় তাকে আজ সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কলেজটির স্কুল শাখার দশম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রশ্নপত্রে সিফাত উল্লাহ মজুমদারকে (সেফুদা) উল্লেখ করে একটি সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরি করা হয়। এরপরই ওই প্রশ্নপত্রের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।প্রশ্নপত্রে ‘সেফুদা’, রাজউকের শিক্ষক সাময়িক বরখাস্তপ্রশ্নে বলা হয়, অদ্ভুত একধরনের মানুষ সেফাতুল্লাহ সেফুদা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। তরুণদের উদ্দেশে সে বলে, ‘মদ খাবি মানুষ হবি, দেখ আমি আরও এক গ্লাস খাইলাম‘ তার কথার প্রতিবাদ করে একজন বিজ্ঞ আলেম বলেন, ‘তার মধ্যে যদি ইমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান প্রভাব পরিলক্ষিত হতো, তাহলে সে হয়ে উঠত একজন আত্মসচেতন ও আত্মমর্যাদা এক ব্যক্তি।’

সৃজনশীল ব্যবস্থার ওই প্রশ্নের উদ্দীপক থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে, আকাইদ কী?, ইসলামের নাম ইসলাম রাখা হয়েছে কেন?, বিজ্ঞ আলেমের বক্তব্যে যে বিষয়টি ফুটে উঠেছে, তা আমাদের জীবনে কী প্রভাব ফেলতে পারে তা ব্যাখ্যা করো। তরুণদের উদ্দেশ্যে দেওয়া সেফুদার বক্তব্য কিসের শামিল? এর ফলাফল বিশ্লেষণ করো।

এর আগে, এপ্রিলে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রের বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্রে প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তরে পর্নো তারকা মিয়া খলিফা ও সানি লিওনের দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটি নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হলে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর