রিকশা নয়, দ্বিতল বাস, এসি বাস চাই

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতি একদিকে চায় উন্নত বিশ্বের মতো নির্ঝঞ্ঝাট-সুন্দর রাজধানীর সড়ক। অপরদিকে রিকশার জন্য তাদের চোখের পানি নাকের পানি এক হয়ে যাচ্ছে। বড়ই অদ্ভুত। রিকশায় চলাচল করে অভ্যস্ত আমরা ১০ মিনিট দূরত্বের রাস্তার জন্য ‘এই রিকশা’, ‘এই রিকশা’ করতে থাকি। অথচ উন্নত বিশ্বের সচেতন মানুষ বেশীরভাগ সময় হাঁটে কিংবা সাইকেলে গন্তব্যে যান।

এসব বলে লাভ কী? এ শহরের মানুষ যেন শুধু খেতে পারলেই বাঁচে। হাঁটতে চায় না। পশু পাখির বিষ্ঠা দিয়ে পিৎজা বানায় দিলেও খুব ‘ট্যাস’ করে খাবে।

ধারণা করি, শতকরা ৮০ ভাগ মানুষের ফিটনেস নাই। কি অদ্ভুদ রকম মোটা-বেঢপ হয়ে যাচ্ছে তরুণরাও। স্বাস্থ্য সচেতনতা তো নাই। কেবল গোশত খাও, চর্বি খাও, ফ্যাট হয় এমন খাবার খাও। শাক-সবজি? ‘ওয়াক এসব তো গরু ছাগলের খাবার!’

রিকশার কথায় আসি ঢাকা শহরে মাত্র ৭৯ হাজার রিকশার বৈধ লাইসেন্স আছে। অথচ রিকশা চলে কয়েক লাখ! একটা রিকশার নাম্বার প্লেটে ২০টাও চলছে। কি অদ্ভুত!

হরের মূল সড়কে ভারী যানবাহনের সঙ্গে রিকশার মতো একটা যান চলতে পারে এটা আমার কাছে বিস্ময়কর লাগে। এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষের কায়িক শ্রমে আনন্দে চড়ে বেড়ান এটা দৃষ্টিকটু লাগে না? এটাতো অমানবিক। পৃথিবী উন্নত হচ্ছে। আমরা পিছিয়ে যেতে চাই।

মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, উবার পাঠাওয়ের অনুমোদন, স্বল্প দুরুত্বের জন্য চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু- এসব যেমন যানজট মুক্ত করার জন্য করা হচ্ছে, ঠিক তেমনি রিকশাকে প্রধান সড়কে চলতে না দেওয়াটাও যানজট মুক্ত করার জন্যই।

গাড়িতে ওঠলে বুঝা যায়, রিকশাগুলা কী পরিমাণ প্যারা দেয়। রিকশাচালকদের না খেয়ে থাকতে হবে না। রাজধানীর তিনটা মূল সড়কে রিকশা নিষিদ্ধ হয়েছে। তারা পাড়া মহল্লার অলিগলি সব জায়গায় রিকশা চালাবে। রিকশা নিয়ে প্রধান সড়ক পর্যন্ত যেতে পারবেন, তারপর বাসে উঠবেন। সমস্যা কোথায়?

কেউ বিপদে পড়লে, একটু বৃষ্টি হলে, লোকসমাগম একটু বেশি হলেই ২০ টাকার ভাড়া ৫০/৬০ চাওয়া রিকশাওয়ালাদের প্রতি মানবিক থাকতে হবে। চাষবাস ছেড়ে ঢাকায় আসছেন রিকশা চালাতে। অন্য কাজ তারা শিখেন না। সরকার চাইলে বিপুল পরিমাণ অবৈধ রিকশা নিষিদ্ধ করে চালকদের কারিগরি শিক্ষার একটা ব্যবস্থা করতে পারে। শিক্ষা শেষে তারা নানা খাতে কাজ করবে।

একই সঙ্গে সরকারের কাছে দাবি জানাই, উন্নত মানের এসি বাস ও মধ্যম মানের প্রচুর বাস নামাতে হবে। তাহলে মানুষ প্রাইভেটকার ছেড়ে এসব বাসে চড়বে, যেটা উন্নত বিশ্বে হয়। তাহলে জ্যাম আরো কমবে বলে আশা করি। ডাবল ডেকার বাস নামাতে হবে।

লেখক: সাংবাদিক

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর