বাঁশের সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে রাত-দিন পারাপার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের কামারডাংগা-চরপাড়া ছোট নদীতে আছে একটি বাঁশের সাঁকো। এই সাঁকোর ভরসায় আছেন ৯ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। ১২০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে রাত-দিন যাতায়াত করেন তারা।

সরেজমিনে ঝুঁকিপূর্ণ ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীসহ এলাকার কৃষকদের পার হতে দেখা যায়। কৃষিপণ্য নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পারাপার করছেন তারা। নদীটির ওপারে বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বিশেষ করে দুবলিয়া হাজী জসিম উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ, ফজিলাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডার গার্টেন ওপারে।

তাই শিক্ষার্থীরাও লেখা-পড়া করার জন্য প্রতিদিন এই সাঁকোর উপর দিয়ে তাদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। মাঝে মধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। কামার ডাংগা গ্রামের ডা. আব্দুর রউফ জানান, এই সাঁকোর উপর দিয়ে একা একাই পাড় হওয়া যায় না, তার উপর কৃষি ক্ষেত খামার থেকে ফসল ঘরে তুলতে ব্রিজ না থাকায় খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচলের সময় অনেক কৃষকেরই হাত-পা ভেঙে গেছে।

চরপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুর প্রামানিক জানান, স্বাধীনতার পর থেকে বাড়ি বাড়ি থেকে বাঁশ ও টাকা তুলে আমরা এ সাঁকো তৈরি করে আসছি। প্রতি বছর এ বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করা আমাদের জন্য কষ্টকর। আমাদের এই দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই। নির্বাচনের সময় আসলেই বিভিন্ন প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু পরে ব্রিজ নির্মাণের আর খোঁজ থাকে না। সাঁকো নির্মাণের কোনো সহযোগিতাও পাওয়া যায় না।

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মুন্সি বলেন, এলাকার ছোট ছোট কাজ কালভার্ট, ড্রেন, মাঠে পানি জমে থাকলে এগুলো আমি নিজ উদ্যোগে কাজ করতে পারি। কিন্তু এসব ব্রিজের কাজ আমি করতে পারি না। তবে ব্রিজটি নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।

এলজিইডি পাবনা নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, ওখানকার জন্য একটি সেতু করার প্রকল্প প্রস্তাবনা দেয়া আছে। সেটি এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর