সাদপন্থীদের ‘জাতীয় কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড’: কী ভাবছেন বেফাকের দায়িত্বশীলরা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দাওয়াতে তাবলীগ। সাধারণ মানুষদের ঈমান-আমলের বিশুদ্ধতার মেহনতে লিপ্ত একটি জামাত, একটি প্রতিষ্ঠান। সারাবিশ্বেই ব্যাপৃত যে প্রতিষ্ঠানের কাজ। মাদরাসা ও আলেমদের পৃষ্ঠপোষকতা সূচনার পর থেকেই এ জামাতের কাজে সঠিকতা এবং গতি দান করেছে। কিন্তু সম্প্রতি দিল্লীর মাওলানা সাদকে কেন্দ্র করে উদ্ভত সংকটে ‘এতায়াতি’ নামে একটি বিতর্কিত গোষ্ঠীর আত্মপ্রকাশ হয়েছে। আলেমদের প্রতি তারা বিদ্বেষ পোষণ করে। ১ ডিসেম্বরে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে তারা নিরীহ তালিবুল ইলম ও দীনদার মানুষদের উপর নির্বিচারে হামলা চালিয়ে বহুজনকে আহত করেছে। 

গত ৪ মে এতায়াতি সাদপন্থীরা “জাতীয় কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড” নামে সাভারের মারকাযুল উলুম আশ শরীয়াহর মিলনায়তনে একটি সাধারণ অধিবেশনে গুটি কয়েকটি মাদরাসা নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করে। ‘কওমী মাদরাসার স্বকীয়তা রক্ষার অঙ্গিকারকে সে বোর্ডের মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।’ কয়েকটি মাদরাসা নিয়ে গঠিত এ বোর্ডের ব্যাপারে পরিচালকদের দাবি হল এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কওমি শিক্ষা বোর্ড!

এতায়াতিদের গঠিত বোর্ড নিয়ে ইসলাম টাইমস-এর পক্ষ থেকে কথা হয় বেফাকের মহাসচিব, ফরিদাবাদ মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা আবদুল কুদ্দুস এবং বেফাকের সহ-সম্পাদক জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার পরিচালক মাওলানা মাহফুজুল হকের সাথে।

মাওলানা আবদুল কুদ্দুস জানান, ওদের গঠিত বোর্ড নিয়ে এখন পর্যন্ত আলোচনার কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়নি। বিতর্কিত কয়েকজন ব্যক্তি হাতেগোনা কয়েকটা মাদরাসা নিয়ে বোর্ড গঠন করে ফেলেছে। রমযানের পরে বেফাকের কোনো মিটিং-এ কেউ আলোচনা উঠালে সেটা নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে। তবে বেফাক ওই বোর্ডকে একদম গুরুত্ব দিচ্ছে না।

‘জাতীয় কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড’ নিয়ে বেফাক কী ভাবছে জানতে মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, ওদের ব্যাপারটি আমাদের জানা আছে। তবে ওদের নিয়ে কিছু ভাবতে হবে বলে বেফাকের কর্মকর্তাগণ মনে করেননি। জনগণ যেভাবে ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে ওরা খুব বেশি দূর যেতে পারবে বলে মনে হয় না। ভূয়া সংবাদ প্রচার ও বড় বড় বিজ্ঞাপনেই ওদের কর্মসূচি সীমাবদ্ধ থাকবে বলে মনে করি। দেশে কত বাতিল দল কিছুদিন পর পর আত্মপ্রকাশ করে আবার চোখের আড়ালে চলে যায় এতায়াতিদের অবস্থাও এমনই হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর