প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বাংলায় দক্ষতাসহ ১৭ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে ২১ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতার আওতায় আনাসহ মোট ১৭টি কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২০ সালের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীদের বাংলায় শতভাগ দক্ষতা অর্জন করানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপত্বিতে এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব গিয়াস আহমেদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এফ এম মঞ্জুর কাদিরসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকীতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এসব কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, ২০২০ সালের ৩১ আগস্টের মধ্যে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বাংলা পড়া, লেখা, শোনা ও বলার ওপর শতভাগ দক্ষ করে তোলা হবে।

উপ-আনুষ্ঠানিক ব্যুরোর মাধ্যমে দেশের ২১ লাখ নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষরতা প্রদান করা হবে। ২০১০ সালের ৩১ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মচারী এবং কমকর্তাদের সমন্বয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ে ঢাকায় সমাবেশের আয়োজন করা হবে।

কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ওই বছরের ১৯ মার্চ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব লোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খোলার আয়োজন; শিক্ষা সপ্তাহ পালন, ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন, সেমিনার/সিম্পোজিয়াম, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু বুক কর্নার ও শহীদ মিনার স্থাপন; স্টুডেন্টস কাউন্সিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ভাষণ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে; মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার অর্জন নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে ঢাকায় একটি আন্তজার্তিক সেমিনারের আয়োজন করা হবে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা নানামুখী কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ২০২০ সালের মধ্যে এসব কর্মযজ্ঞগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের দেয়া প্রতিবেদনে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা বাংলা, ইংরেজি ও অংক করতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেটিকে আমলে নিয়ে প্রথম ধাপে শিক্ষার্থীরা যেন শতভাগ বাংলার ওপর জ্ঞানার্জন করতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেব। পাশাপাশি ইংরেজি বিষয়েও যাতে দুর্বলতা কাটিয়ে লিখতে ও পড়তে পারে সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর