‘বৃদ্ধাশ্রম’ গান গেয়ে মাত করলেন নোবেল

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মা দিবসের আগেরদিন রাতে গাইলেন বেশ কয়েকজন বৃদ্ধা মায়ের সামনে। গাইলেন নচিকেতার বিখ্যাত গান। নোবেলের গান শুনে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি উপস্থিতরা। পরপর তিনবার নোবেল আশাহত করেছিলেন। অবশ্য নোবেল আশাহত করেছেন এমনটা মানতে রাজি নন ভক্তরা। কিন্তু যেটা বিচার হয়ে যায় সেটা নিয়ে আর বলার কিছুই থাকে না। কিন্তু গতকাল শনিবার রাতে নোবেল একদম ঘুরে দাঁড়ালেন।

টেলিভিশনের বাইরের দর্শক-শ্রোতাদের অবস্থা কী হয়েছিল তা না জানা গেলেও বিচারকরাও যে রীতিমতো আবেগাক্রান্ত হয়েছিলেন তা গান শেষেই বোঝা গেল। নোবেলের কণ্ঠে বৃদ্ধাশ্রম শুনে কেউ বিচারকের আসনে বসে থাকতে পারেননি। এসে জড়িয়ে ধরলেন নোবেলকে। শ্রীকান্তো এদিন প্রশংসায় ভাসান নোবেলকে।

ভারতের টিভি চ্যানেল জি বাংলার রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’ তে অংশ নিয়ে দুই বাংলাতেই সাড়া ফেলে দিয়েছেন বাংলাদেশের নোবেল। শুরু থেকেই সেখানকার বিচারকসহ সকলের মন জয় করেছেন এই তরুণ। সৃজিত মুখার্জীর আপকামিং ছবিতে প্লেব্যাকও করে ফেলেছেন। অনেকেই বলছেন, নোবেলই এবারের আসরের বিজয়ী হতে যাচ্ছেন।

নদী রহমান নামের একজন মন্তব্য করেছেন, সত্যিই নোবেল গানটি পরিবেশনার সময় আসল গানটি কোথায় যেন হারিয়ে গেছিল। নোবেলের  ভয়েস এর texture এই গানটির জন্য একেবারেই উপযুক্ত হয়েছে। প্রত্যেক বারের মতো নোবেল নিজস্বতা এবং গানের প্রতিটা কথা হৃদয়ে রপ্ত করার ফলে গানটি গাওয়ার সময় নোবেলের স্বাভাবিক অভিব্যক্তি যেটা গানের প্রতিটা কথার মাধ্যমে বেরিয়ে এল তা সত্যিই হৃদয়স্পর্শী।

তিনি বলেন, গানটির মাধ্যমে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে আসলে যে শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে তা যেন ফলপ্রসূ হয়। আর নোবেল কথা মতই বৃদ্ধাশ্রমের ধারণাটিই যেন সমাজ থেকে মুছে যায়। সন্তানের ঘর ই হোক প্রতিটি বাবা মায়ের শ্রেষ্ঠ আশ্রম। এতো ভিন্ন ধর্মী আর হৃদয় ছুয়ানো গান, সারেগামাপা মঞ্চে আর কোউ দিতে পারবে না,, এক মাত্র নোবেল ছাড়া। এতো দরদ দিয়ে গানটা গাইলো যে চোখের পানি ধরে রাখা যাচ্ছে না।

নদী লিখেছেন, যদি এই গানটা এখন ঐ সমস্ত লোকেরা শুনে যারা তাদের জনম দঃখীনি মা, বাবা কে বৃদ্ধা আশ্রমে রেখে চলে আসচ্ছে,, হয়তো তাদের একটু হলেও হৃদয়ে কম্পন উঠবে। নোবেল তুমি পারো একমাত্র সবার হৃদয় কম্পন করতে আবার তুমিই পারো স্টেজ কম্পন করতে।

সঞ্জিব নামের একজন লিখেছেন, ‘আমাদের নোবেল। অসম্ভব ভাল লাগার একটা গান গেয়েছেন নোবেল। বৃদ্ধাশ্রম নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা মানুষ হোক যাতে বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে আর যেতে না হয়। ভালো চাকরি বাকরি তো অনেকেই করে, বাবা-মাকে দেখাশোনা করে ক’জন। পৃথিবীর বুক থেকে বৃদ্ধাশ্রমের বিলুপ্তি ঘটুক।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর