১ মণ ধানে ১ জন শ্রমিক

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একজন ধান কাটা শ্রমিকের মূল্য ছয় থেকে সাতশ টাকা। আর খেতে দিতে হবে তিন বার। সঙ্গে পান-বিড়ি-সিগারেট তো থাকছেই। এমন অবস্থা বোরোধান কাটা শ্রমিকদের। শ্রমিক সংকটের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। অরদিকে ধানের মণ বিক্রি হচ্ছে সাতশ টাকা। সব মিলিয়ে এক মণ ধানে একজন শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে। তাও আবার পর্যাপ্ত নয়।

জানা গেছে, মাঠে মাঠে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। আশায় বুক বেঁধেছিল কৃষক বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছিল তাই। কিন্তু হঠাৎ করে ধানকাট শ্রমিকের মূল্য বেড়ে যাওয়া এবং ধানের নায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকের সে স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেছে। একজন ধান কাটা শ্রমিকের মূল্য সাতশ টাকা তিন বার খেয়ে। আর সেখানে ধানের মণ প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ছয়শ থেকে সাতশ টাকা। এতে করে বোরো আবাদে লাভ তো দূরের কথা ধান চাষে লোকসান হচ্ছে চাষিদের।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বোরো ধান চাষে বীজ, সার, কীটনাশক, চারা লাগানো, জমি পরিষ্কার করা, ধানকাটা শ্রমিক খরচসহ প্রতিমণ ধানে উৎপাদন খরচ পড়ছে কমপক্ষে নয়শ থেকে এক হাজার টাকা। বর্তমানে হাট-বাজারগুলোতে প্রকার ভেদে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ছয় থেকে সাতশ টাকা। আর ধান কাটা শ্রমিক আনতে হচ্ছে সাতশ টাকা দিয়ে। এতে করে প্রতিমণ ধান লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে।

সদর উপজেলার সিমানন্দপুর গ্রামের কৃষক ইশারত শেখ বলেন, ধান মাঠে পেকে গেছে যে কোনো সময় ঝড়-বৃষ্টি আসতে পারে। তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে শ্রমিক এনে জমির ধান কাটা হচ্ছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৪ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৪৬ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে। বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৯৪ হাজার ৪০৫ টন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় বলেন, জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৯৪ হাজার ৪০৫ টন।

জেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনুতোষ কুমার মজুমদার বলেন, বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান দ্রুতই শুরু হবে। চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় এক হাজার ৪৫৯ টন ধান সংগ্রহ করা হবে। প্রতিকেজি ধান ২৬ টাকা করে ক্রয় করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর