হাজীগঞ্জের কয়েক গ্রামের কৃষি জমি পানিবন্দী

বাড়ির রাস্তার জন্যে পানি চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় হাজীগঞ্জের ৫নং সদর ইউনিয়নের সুবিদপুরসহ তৎসংলগ্ন এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামে কৃষি জমিতে পানি আটকে রয়েছে।

আর এ কারণে ওই এলাকার কৃষি জমিতে বীজতলাসহ কৃষি জমি তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রায় এক যুগ ধরে ওই অঞ্চলের কৃষকসহ কয়েক হাজার পরিবার এ দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসছে।

বলাখাল রেল স্টেশনের পূর্ব অংশে রেলের ৩২নং ব্রিজটির নিচ দিয়ে পুরো সুবিদপুর গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের প্রায় ৫০ একর কৃষি জমির পানি নামার একমাত্র খাল।

এ খালটি রেলের ব্রিজের নিচে দক্ষিণ দিক দিয়ে বাঁকা-সোজা হয়ে সিএন্ডবি সড়কের পাশের খালে মিশেছে।সেই পানি বলাখাল এলাকা ধরে ডাকাতিয়া নদীতে গিয়ে নামে।

আর পানি নামার এই খালটি গত কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।যার মূল কারণ হলো খাল পাড়ের মানুষগুলো নিজেদের বাড়ির রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে খালটি দখলে নিয়ে বন্ধ করে ফেলেছে।আর এ কারণে ওইসব গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকার জমির পানি এখনো আটকে রয়েছে।

স্থানীয় চৌধুরী গাজী বাড়ির কৃষক আঃ রব জানান, অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি সময়ে এখনো আমাদের ফসলি জমিতে আড়াই ফুটের মতো পানি জমে আছে।আর এ পানি স্বাভাবিকভাবে না শুকানো ছাড়া কিছু করা যাবে না। কারণ পানি নামার পথ বন্ধ।কয়েক বছর ধরে আমরা এ সমস্যায় ভুগে আসছি।এ কারণে আমাদের কৃষি কাজসহ ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এক কথায় আটকে থাকা এই পানির কারণে আমরা শীতের ফসল ঘরে তুলতে পারছি না।

ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, আমরা বহু দৌড়াদৌড়ি করেছি লাভ নেই।যারা খালের জমি দখল করে রেখেছে তাদের দৌড় অনেক উপরে।

আমাদের পুরো এলাকা পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে।অথচ এ সমস্যাটি কেউ নজরেই আনছে না।মজার ব্যাপার হচ্ছে দখলকারীদের একজন আবার কৃষি অফিসে চাকরি করেন।পানি চলাচল পথ তিনি নিজেই বন্ধ করে রেখেছেন।

সুবিদপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বলাখাল মকবুল আহম্মদ ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য সিরাজুল ইসলাম জানান, গত বছর এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশের পর তহসিলদার লতিফ গাজীকে দিয়ে একটি তদন্ত করা হয়েছে। এরপর ফলাফল বলতে কিছুই পাইনি।

এ বিষয়ে জানতে লতিফ গাজী (বর্তমানে ফরিদগঞ্জে কর্মরত) জানান, তখনকার সময়ের ইউএনও স্যারের নির্দেশে সুবিদপুরের ওই অংশে অবৈধ দখলকারীদের নাম ঠিকানাসহ জনস্বার্থে ওইসব বাড়ির সড়ক উচ্ছেদ পূর্বক পানি চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য প্রতিবেদন দিয়েছি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু সাদেক জানান, এ বিষয়ে আমার জানা নেই আমি জেনে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর