সূর্যমুখী চাষে লাভবান

গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায় তেলবীজ হিসেবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্বল্প ব্যয়ে লাভজনক হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এবার মুকসুদপুর উপজেলায় পরীক্ষারমূলকভাবে পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট সম্মলিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলা ১৩টি স্থানে সূর্যমুখী আবাদ করা হয়েছে। কৃষরা সাফল্য পাওয়ায় অন্যান্য কৃষকরা সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকে পড়ছে। স্থানীয় চাষিরা জানান, বন্যা আক্রান্ত এলাকায় ব্যাপকভাবে সরিষার আবাদ করা হতো। কিন্তু সরিষার চেয়ে সূর্যমুখী লাভজনক শস্য হওয়ায় কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পে এ বছর সূর্যমুখী চাষে স্থানীয় কৃষকদের সচেতন করে রোপণের জন্য ফ্রি বিজ দেন, কৃষকরা জমিতে সূর্যমুখী চাষ শুরু করেন। চাষিরা জানান, অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে জমিতে সারিবদ্ধভাবে বীজ বপন করা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ৩ কেজি বীজ, সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও দু’বার সেচ দিতে হয় এ ফসলে। সবকিছু মিলিয়ে প্রতি বিঘায় খরচ হয় প্রায় ২-৩ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘায় ১০-১২ মণ তৈল বিজ হয়। সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যয়। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, উৎপাদিত সূর্যমুখী বীজ বাজারে ১৪০০-১৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করা যাবে। আর তা থেকে একজন কৃষকের খরচ বাদে লাভ হবে বিঘায় ১৪০০০-১৫০০০ টাকা। উপজেলা পশারগাতী ইউনিয়নের কাউলদিয়া গ্রামের রাজ্জাক মোল্যার স্ত্রী আকলিমা বেগম জানান ‘আমরা দোফসলি জমিতে এ ফসলের চাষ করেছি অল্প পরিশ্রমে এ ফসল উৎপাদন করে লাভের মুখ দেখছি। মুকসুদপুর উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার সোলাইমান হোসেন জানান, সূর্যমুখী ভোজ্য তেল হিসেবে গুণগতমান ভালো। বাজারে সূর্যমুখীর চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় চাষিদের হাসি ফুটবে। সূর্যমুখী চাষ দেখে কৃষকরা আগামীতে চাষ করার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর