শহিদুলের বিদেশ যাওয়া হলো না

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য জরুরি বিভাগে স্বাস্থ্য সহকারীর ভুল চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ গটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বাস্থ্য সহকারী খাদেমুল ইসলামকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। সোমবার কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, খাদেমুল ইসলাম নামে ওই স্বাস্থ্য সহকারী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মেডিকেল অফিসারের চেয়ারে বসে শহিদুল ইসলাম (২৩) নামে জ্বরে আক্রান্ত এক রোগীকে প্যারাসিটামল ও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেন। ওষুধ খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার পরই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই রোগীর মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া ইউনিয়নের শিমুলকান্দি গ্রামের মৃত মস্তোফা মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৩) আর কয়েকদিন পরই মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তার ভিসাও হয়ে গেছে। এ অবস্থায় গত সোমবার তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কটিয়াদী হাসপাতালে যান। জরুরি বিভাগে ডাক্তারের চেয়ারে বসে থাকা স্বাস্থ্য সহকারী খাদেমুল ইসলাম রোগীকে ওষুধ লিখে দেন।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বাড়িতে ওই ওষুধ খাাওয়ার পর সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওইদিন বিকেলে আবারও তাকে সংকট অবস্থায় কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এসময় জরুরি বিভাগে চিকিৎসক নুপুর সাহা ও স্বাস্থ্য সহকারী খাদেমুল ইসলাম আগের ব্যবস্থাপত্র ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে তাকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে নেওয়ার পথে নাক ও মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

অভিযুক্ত খাদেমুল ইসলাম ওই রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার কথা স্বীকার করে জানান, জরুরি বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় ওই রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, উপসহকারী  মেডিকেল অফিসাররা সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিতে পারেন। তবে জটিল কোনো রোগী হাসপাতালে এলে অবশ্যই ডাক্তারকে খবর দিতে হবে। খাদেমুল ইসলাম কেন ডাক্তারকে খবর দেয়নি এ জন্য তাকে কারণ  নোটিশ দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি বা ভুল চিকিৎসার প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর