রাস্তাঘাট উন্নয়নে আখ চাষিদের কর দিতে হবে না

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাস্তবে কার্যকরিতা না থাকায় চিনি (রাস্তাঘাট উন্নয়ন উপকর) আইন-২০১৭ এর খসড়াটি স্থগিত করে দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটি অনুমোদন না দিয়ে স্থগিত করায় কৃষকের উপর থেকে করের বোঝা নেমে গেল। না হলে চিনিকল এলাকার রাস্তাঘাটের জন্য তাদের কাছ থেকে ট্যাক্স নেওয়া হতো। আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আলোচনা পর্যালোচনা শেষে আইনটি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চিনি (রাস্তাঘাট উপকর) আইনের খসড়াটি এর আগে মন্ত্রিসভায় এসেছিল, নীতিগত অনুমোদনও দেওয়া হয়। আজ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হলে আইনের বাস্তব কার্যকরিতা নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করা হয়। কিন্তু বর্তমানে এর কার্যকারিতা না থাকায় আইনটি স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়।

শফিউল আলম জানান, আইটি অনেক পুরানো। ১৯৬০ সালে পাকিস্তান আমলের একটি অর্ডিনেন্স। আইনে বলা হয়েছে, সুগারমিল এলাকায় রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য চিনিকল সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে উপকর নেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে চিনিকল এলাকায় যেসব রাস্তাঘাট রয়েছে তার উন্নয়ন করছে স্থানীয় সরকার, পারিসম্পদ উন্নয়নসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। তাই পাকিস্তান আমলের এই আইনটি বর্তমানে কার্যকর না। তাছাড়া আইনটি অনুমোদন দেওয়া হলে চিনিকল সংশ্লিষ্ট কৃষকদের উপর বাড়তি করের বোঝা চাপবে। কৃষকদের হয়রানির কথা চিন্তা করে আলোচনা পর্যালোচনা শেষে আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন না দিয়ে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভা।

প্রসঙ্গত, বিদ্যমান আইনে প্রতিমণ আখে কৃষি কলেজ ও রাস্তাঘাট উন্নয়নে আড়াই টাকা এবং প্রতিগাড়ি আখের মোট মূল্যে যে পয়সা আসে তা কেটে নেওয়া হয় চাষি কল্যাণ সমিতির ফান্ডে। এছাড়া প্রতিগাড়ি আখের জন্য সিউর ক্যাশের জন্য কেটে নেওয়া হয় ১০ টাকা। নতুন আইন পাস হলে কৃষককে আর এ টাকা দিতে হবে না।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর