যে ৭টি খাবার ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু প্রতিরোধ করে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমাদের দেহ প্রতিনিয়তই ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু এবং ভাইরাস প্রতিরোধে লড়াই করে। কারণ নিঃশ্বাস এবং খাবারের সঙ্গে সারাক্ষণই এসব আমাদের দেহে ঢুকছে। সুতরাং আমাদের দেহের আভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সবসময়ই সক্রিয় রাখতে হবে। যাতে এসেবর মধ্যে ক্ষতিকরগুলোকে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি। আমাদের দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এদের প্রতিরোধ করতে সক্ষম হলেও এর একটু বাড়তি সহায়তাও দরকার হয়। তার জন্য প্রাকৃতিকভাবে ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুরোধী এই খাবারগুলো খেতে হবে।
১. মধু
মধু হলো প্রথম ব্যবহৃত প্রাকৃতিক জীবাণুরোধী ওষুধ। এতে আছে জীবন্ত এনজাইম যা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড নিঃসরণ ঘটায়। যা আমাদের দেহে প্রবেশ করা ক্ষতিকর জীবাণুদের এবং অযাচিত উপাদানদের হত্যা করে। সুতরাং প্রতিদিন সকালে এক চা চামচ মধু এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন।
২. রসুন
রসনু একটি শক্তিশালী ব্যাকটেরিয়ারোধী খাদ্য যেটি সব ধরনের ছত্রাক সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

প্রতিদিন খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
৩. হলুদ
ক্ষত ও কাটা-ছেঁড়ায় অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে রসুনের ব্যবহার বহুল পরিচিতি। কিন্তু এটি একটি চমৎকার ব্যাকটেরিয়ারোধী খাদ্য যা আপনার দেহের আভ্যন্তরীণ সিস্টেমকে পরিষ্কার রাখবে। প্রতিদিন এক গ্লাস হলদি দুধ খেলে আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সর্বোচ্চে থাকবে।
৪. নারকেল তেল
এতে আছে লরিক এবং ক্যাপ্রিলিক নামের দুটি ট্রাইগ্লিসারাইড এসিড। গবেষণায় দেখা গেছে, এই এসিড বেশ কয়েক ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। এ ছাড়া ত্বকের সংক্রমণের জন্যও এটি একটি ভালো দাওয়াই।
৫. লেবু
লেবুতে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকরোধী উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী ছত্রাক প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে রোগ সৃষ্টিকারী ফ্রি র‌্যাডিকেলসগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে। প্রতিদিন দুটি লেবুর রস দিয়ে এক গ্লাস জুস বানিয়ে পান করুন।
৬. আনারস
আপনি হয়তো এই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফলটির স্বাস্থ্যগত উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না। কিন্তু এটি একটি বিস্ময়কর ব্যাকটেরিয়ারোধী হিসেবে কাজ করে। যা মুখ ও গলার আগ্রাসী কোষগুলোকে প্রতিরোধ করে। তাজা আনারসের রস রক্ত ঠাণ্ডা করে এবং নাক ও সাইনাসের প্রদাহ দূর করে।
৭. আদা
গলায় কোনো ইনফেকশন হলে সেরা ঘরোয়া দাওয়াইটি হলো আদা। এক টুকরো কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে কফ দূর হয় এবং গলার সংক্রমণের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া মরে যায়। এছাড়া আদাতে সেসকুইটারপেন নামের একটি রাসায়নিক উপাদান আছে যা ঠাণ্ডা-সর্দি সৃষ্টিকারী রাইনোভাইরাস প্রতিরোধ করে।
সূত্র : এনডিটিভি

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর