ব্যাংকিংখাতের ঝুঁকির ধরন পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিনিয়ত: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সর্বস্তরে সুশাসন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করার পাশাপাশি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী আধুনিক সেবা দেয়া যায়।

তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকির ধরন পরিবর্তন হচ্ছে। সেটাকে মাথায় রেখে কেন্দ্রিয় ব্যাংক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অধিক মনোযোগি হয়েছে।এ বিষয়ে সতর্ক পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। রোববার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে ব্যাংকার ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিআইবিএম ও অস্ট্রেলিয়ান একাডেমি অব বিজনেস এন্ড সোশ্যাল সায়েন্স (এএবিএসএস) যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।এ সম্মেলনে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেনিসি স্টেট ইউনিভার্সিটি,ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়া ও সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি।

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী,ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়ার সহযোগী অধ্যাপক স্টিফেন বয়েল, বিআইবিএমের অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জী বক্তব্য রাখেন। গভর্নর বলেন, সময়ের পরিবর্তন ও প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং খাতে গ্রাহক চাহিদারও ধরন বদলাচ্ছে। পরিবর্তিত এই চাহিদা মেটাতে গ্রাহক সেবায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এজন্য ব্যাংকিং খাতে প্রযুক্তির ব্যবহারও বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে কিছু সমস্যা থাকার স্বত্তেও অব্যাহতভাবে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ খাত উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেয়া কর্মসূচি পৃথিবীব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি ও হিসাবয়নে স্বচ্ছতার অভাবের মত সমস্যা এখনও রয়ে গেছে। যা অর্থনীতি বিকাশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করছে।

তিনি এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সংস্কার কার্যক্রম জোরদার এবং প্রযুক্তির ব্যবহার আরো বাড়ানোর পরামর্শ দেন।দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের ১৩৭ গবেষকের ৬৪টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর