বাংলাদেশে চাল রপ্তানি করে রেকর্ড গড়ল ভারত

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৭ সালে ভারত যে পরিমাণ চাল রপ্তানি করেছে তা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ২২ শতাংশ বেড়ে চাল রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ টন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশই বড় ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণে চাল আমদানি করায় ভারতের রপ্তানির এই রেকর্ড তৈরি হয়েছে।

ভারতের চাল রপ্তানিকারকরা জানান, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ বেশি চাল কেনার কারণে ২২ শতাংশ রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়ে মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ টন। ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ টন। বাংলাদেশের চাল ক্রয়ের কারণে ভারতের অ-বাসমতির চালের রপ্তানি বেড়েছে ৩৮ শতাংশ।

অন্ধ্র প্রদেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান শ্রী ললিতা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী এম অধিশঙ্কর জানান, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ প্রচুর চাল ক্রয় করেছে, ফলে ভারত চাল রপ্তানিতে রেকর্ড করতে সক্ষম হয়েছে।

২০১৭ সালে বন্যার কারণে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং আমদানি শুল্ক কমানোর কারণে বাংলাদেশ ভারত থেকে রেকর্ড পরিমাণ চাল আমদানি করে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক  বদরুল হাসান।

বদরুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ ভারত থেকে ২৪ লাখ টন চাল আমদানি করেছে, যা মোট আমদানির ৮০ শতাংশ। আমদানি শুল্ক কমা এবং বন্যার কারণে বাংলাদেশ ভারত থেকে এই পরিমাণ চাল আমদানি করেছে। বোরো ধান না কাটা পর্যন্ত ভারত থেকেই চাল আমদানি করতে হবে।

তিনি আরও জানান, এতো চাল আমদানি করার পরেও বাংলাদেশে চালের দাম বেড়েছে, যা কৃষকদের ধান চাষে উৎসাহিত করবে।

সর্বভারতীয় চাল রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি বিজয় সেতিয়া জানান, ২০১৮ সালে ভারতের চাল রপ্তানির পরিমাণ বাড়বে নাকি কমবে সেটা নির্ভর করছে অ-বাসমতি চাল রপ্তানির ওপর। এছাড়া বাসমতি চাল রপ্তানির পরিমাণ ৪০ লাখ টনের কাছাকাছি থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, গত বছর আফ্রিকার দেশগুলো থাইল্যান্ড থেকে চাল ক্রয় করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মতো প্রধান বাজারের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে ভারত।

দীর্ঘদিন ধরে ভারত উত্তর-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকায় অ-বাসমতি চাল এবং মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা ও ব্রিটেনে উচ্চমানের বাসমতি চাল রপ্তানি করে আসছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর