পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের প্রেতাত্মাদের রুখে দিতে হবে : ছাত্রলীগ সভাপতি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয় রয়েছে। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদর্শিক ছাত্র রাজনীতি চালুর মাধ্যমে এসব প্রেতাত্মা
রুখে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
১৫ আগস্ট ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতীয় শোক দিবসে হামলার পরিকল্পনা ও সারাদেশ অস্থিতিশীল করার প্রতিবাদে কাল পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে ছাত্রলীগ। সমাবেশে বলা হয়, খালেদা-তারেক গংদের নির্দেশে ও অর্থায়নে জামাত-শিবির এ হামলার পরিকল্পনা করেছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।
সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ১৫ আগস্টের শোক কোটি বাঙালির হৃদয়ে গেঁথে আছে। এই শোক আমাদের সাহস জোগায়, এই শোক বাংলাদেশকে একটি আদর্শিক ধারায় উন্নতির লক্ষে নিয়ে যাওয়ার প্রধান হাতিয়ার। আজ কোটি তরুণের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু চির জাগ্রত। বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি আজ বাঙালির ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। টুঙ্গিপাড়ার সমাধিসৌধ বাঙালির তীর্থ ভূমিতে পরিণত হয়েছে।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, এই শোকের শক্তিই বিএনপি, জামাত-শিবিরের গলার কাঁটা। এই কারণেই যেন বাঙালি জাতি শোক দিবস পালন করতে না পারে সেই উদ্দেশ্যেই ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে হামলার পরিকল্পনা করেছিল বিএনপি-জামাত জঙ্গিরা।
সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, জঙ্গি নির্মূলে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদর্শিক ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে।  যেন আর কোন ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট ও ২১ আগস্ট তৈরি করতে না পারে।
এস এম জাকির হোসাইন বলেন, খালেদা-তারেক ও তাদের দোসর জামায়াত-শিবির এই শোক দিবসে হামলা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত। এদেরকে চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজপথে থাকবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,  বন্যা একটি দুর্যোগ। এই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আহবান জানাই- যার যার অবস্থা থেকে বন্যা দুর্গতদের পাশে থাকুন। যেকোন দুর্যোগে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থাকে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স। ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি বায়জিদ আহমেদ খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর