জাওয়াদ অনুতপ্ত হও,অপরাধের ক্ষমা চাও, বিলেতের সিলেটিরাইতো আমাদের দেশ,গর্ব

জাওয়াদ নির্ঝর সংবাদকর্মি হলেও জানে বিলেত প্রবাসী সিলেটিরা কতটা দিয়েছে তার দেশকে! সংবাদকর্মি হয়ে গেছে,টিভি ক্যমেরা আমার এই অনুজকে স্টার হবার আত্মঅহংকারে বেহুশ করেছে।

দেয়নি শিক্ষা, ইতিহাস জানার গভীরতা! বিনয়ী করেনি পেশাদারিত্ব, উপলব্ধি করতে শেখেনি স্বজনের মায়া মমতা। ব্যথিত করেছে প্রবাসীদের।

জাওয়াদের অনুশোচনা হচ্ছে কিনা জানিনা, গ্লানিতে প্রবাসীদের মনে আঘাত করার কারনে ক্ষমা চেয়ে স্টেটাস দিয়েছে তাও দেখিনি। অনুরোধ করবো নিজেকে বড় করতে এতো বড়ো ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাও। অনুতপ্ত হও।

জিটিভি তাকে অব্যাহতি দিয়েছে। কিন্তু মানসিক ভাবে তার মন অনেকেই পুষেন।

তারা জানেননা আমাদের পূর্বপুরুষরা কিভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সেখানে কঠিন আবহাওয়া ও পরিবেশ আর বর্নবাদের আগ্রাসনের মুখে নিজেদের জায়গা করেছিলেন। তাদের কারণেই আজ বিলেতে বাংলাদেশ বড় জায়গা করেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।

জাওয়াদ নির্ঝরসহ অনেকে জানেননা সিলেটি বিলেত প্রবাসীরা ১০হাজার রেষ্টুরেন্টই করেননি, অর্থনীতিতেই ভূমিকা রাখছেননা, স্থানীয় সরকার থেকে পার্লামেন্টে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

জানেনা আজকের প্রজন্ম প্রশাসন সহ সব পেশায় উচ্চ শিক্ষা নিয়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে।

আজকের ক্রিকেটদল খেলতে গেলে লালসবুজের পতাকায় গভীর দেশপ্রেমে আবেগ নিয়ে স্টেডিয়াম গ্যালারি দখল করে সমর্থন দেন। আন্তরিক আতিথেয়তাও করেন।

সাংবাদিক লেখক সংস্কৃতি কর্মি আমলা রাজনীতিবিদ যেই বেড়াতে বা কাজে যান তাদের গভীর মায়া মমতায় আদর আপ্যায়ন করেন! তারা জানেনা সেই কবে থেকে ব্যরিস্টারি সহ উচ্ছ শিক্ষা নিতে যাওয়া সন্তানদের তারা কত সাহায্য সহযোগিতা করছেন।

মুক্তিযুদ্ধ, গনতন্ত্রের সংগ্রামেই নয় অর্থনীতি প্রাকৃতিক দূর্যোগে তাদের সাহয্য ঐতিহাসিক।

খেলা কাভার করতে গিয়ে জাওয়াদ নির্ঝর স্টেটাস দিয়েছে,”ভাই লন্ডনে থেকে যাবেন নাকি? লন্ডনের রাস্তায় অপরিচিত বাঙ্গালিদের এই বিরক্তিকর কমন প্রশ্ন! ফইন্নির ঘরের ফইন্নিদের লন্ডন থাইকা টাকা পয়সা হইছে ঠিকই, মানুষ হইতে পারে নাই”!

সে আরো লিখেছে, যতটানা লন্ডন তারচেয়ে খারাপ এখানকার সিলেটিরা! না হইছে বাঙ্গালী না হইছে বৃটিশ! হইছে শূয়োরের বাচ্ছা! ছিছিছি! একজন সংবাদ কর্মি দূরে থাক,পাগল উন্মাদ এভাবে বলে!এতো মানসিক বিকৃতি????

এই স্টেটাসে জাওয়াদ নির্ঝর সবার মনে আঘাত করেছে। নিজেই জানেননা কি বলেছে, মানুষ হলে গোটা দেশ যাদের নিয়ে গর্ব করে তাদের এমন বলতে পারতোনা! একদিন সে অবশ্যই এ জন্য অনুশোচনায় ভুগবে।

কুতুব আফতাব কবি ও লেখক। স্টেটাসে বলেছেন খেলার মাঠে তাকে খবর প্রচারে সাহায্য করেছেন। কেউ তাকে থাকার কথা বলেননি।

ধরে নেই কেউ থাকার কথা জানতে চেয়েছেন, যদি চেয়ে থাকেন সে তো আন্তরিকতা! ভুল কই। জাওয়াদের চেয়ে বড় বড় সাংবাদিক লেখক আমলা রাজনীতিবিদ থাকেননি? সিলেটিরাইতো দেশের ভাই বলে বুকে টেনে আশ্রয় দেন সাহায্য দেন!

আব্দুল গাফফার চৌধুরী থেকে সালেহ শিবলীরা যখন গেলেন সিলেটিরাইতো বুকে টানলেন! শেখ হাসিনার প্রথম শাসনামলে প্রেস সেক্রেটারী হয়ে যান আবু মূসা হাসান। মেয়াদ শেষে ফিরতে চাননি, সিলেটিরাইতো থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন!

একুশে টিভির অনেকেও চাকরি হারিয়ে যখন গেলেন সিলেটিরাই পাশে দাঁড়ালেন। পলাশকে পুলিশ পরিবারসহ প্লেনে তুলে দিতে গেলে সিলেটি সাংবাদিকরাই আটকালো!

ভারত ছাড়াও পৃথিবীর দুটি দেশ আমার প্রিয়। বৃটেন ও আমেরিকা। সিলেটি স্বজনদের কারনে সেকেন্ডহুম মনে হয়। শক্তিও সাহস পাই। সিলেটি ছাড়াও কত প্রিয়মুখ কত স্বজন প্রবাসী। বিলেত ও আমেরিকায় গেলে মনে হয় বাড়ি গেছি, ওতো আদর।

সিলেট প্রবাসীদের মায়ার শরীর, দেহ থেকে বড় মন, মাটির চেয়েও কোমল হৃদয়! সেখানে আঘাত করলে তারা ছোট হননা, আঘাতকারীর মাথাই অকৃতজ্ঞ বলে নীচু হয়।

বিলেত আমেরিকা রক্তাক্ত হয় সন্ত্রাসবাদের হামলায়,আমাদের হৃদয়ে রক্তঝরে কেন? আমাদের আপনজনদের ঠিকানা আমাদের পরম আদর লাভের জায়গা বলে।

জাওয়াদ নির্ঝর ক্ষমা চাও, প্রবাসীরা তাকে ক্ষমা করে দিন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর