খাদিজা বেঁচে গেছেন, শিগগিরই হাতে অস্ত্রোপচার

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। চিকিৎসক বলছেন, খাদিজা বেঁচে গেছেন। এখন তার সুস্থতার চেষ্টা করছেন তারা। শিগগিরই খাদিজার হাতে অস্ত্রোপচার করা হবে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলমের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত খাদিজাকে প্রায় সাত দিন লাইফ সাপোর্টে রাখার পর বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হয়। এখন তিনি লাইফ সাপোর্ট ছাড়াই নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
তবে আর কত দিন তাকে আইসিইউতে রাখা হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না তার চিকিৎসক স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী কনসালটেন্ট মির্জা নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেছেন, খাদিজার অবস্থা দিন দিন উন্নতি হচ্ছে।
শনিবার রাতে মুঠোফোনে ডা. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘খাদিজার হাতে যেসব ক্ষত রয়েছে, সেগুলো সারানোর জন্য তার একটি অপারেশন করতে হবে। তবে তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন।’
ডা. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘প্রথমে আমরা তাকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। ইনশা আল্লাহ তিনি বেঁচে গেছেন। এখন তার সুস্থতার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।’
খাদিজার লাইফ সপোর্ট খুলে ফেলা হয় ১৩ অক্টোবর দুপুরে। তখন বলা হয়েছিল, পরীক্ষামূলকভাবে খাদিজার লাইফ সাপোর্ট খোলা হচ্ছে। যদি তিনি লাইফ সাপোর্ট ছাড়া সুস্থ থাকেন তাহলে তাকে আইসিইউ থেকে সাধারণ ওয়ার্ড বা কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।
গত ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজে ¯œাতক দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম। এতে গুরুতর আহত হন খাদিজা। তাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরদিন (৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ওই দিন দুপুরে তার মাথায় ও হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়।
ইতিমধ্যে ‘বদরুল কা-’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে আলোড়ন ওঠে। সাংবাদিকদের ভিড় জমে স্কয়ার হাসপাতালে।
সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন জানান, ৭২ ঘণ্টার আগে খাদিজার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কিছু বলা যাবে না। চার দিন পর জানানো হয় খাদিজা চোখ মেলেছেন।
খাদিজার ওপর হামলার পর বদরুল স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়ে গণপিটুনির শিকার হন। পরে তাকে পুলিশে দেয় জনতা। ঘটনার এক দিন পর ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকার করেন, প্রেমে সাড়া না দেয়ায় খাদিজাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর