“কিশোরগঞ্জ জেলার নামকরণের ইতিহাস “

জাকির হোসাইন : কিশোরগঞ্জের নামকরণ বিস্তার গভেষনা না
হলেও বেশ কয়েকজন বিস্লেষক
কিশোরগঞ্জের নামকরনের উপর তাদের
মতামত পেশ করেছেন। কিশোরগঞ্জের
কৃতী সন্তান কেদারনাথ মজুমদার রচিত
“ময়মনসিংহের ইতিহাস” ও “ময়মনসিংহের বিবরণ” ( ১৯০৪
ও ১৯০৫ সালে প্রকাশিত ) নামক ইতিহাস গ্রন্থে
কিশোরগঞ্জের উৎপত্তি ইতিহাস সম্পর্কে
লেখা নেই।
ঐতিহাসিক অভিধান, দেওয়ান ঈশা খাঁ এবং আরো
বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ইতিহাসের বই প্রণেতা
কিশোরগঞ্জের আরেক কৃতি সন্তান ইতিহাসবিদ,
গভেষক মতিউর রহমান রচিত বইগুলোতে
কিশোরগঞ্জ নামের উৎপত্তি নিয়ে কোন
আলোচনা করা হয়নি। তবে আশির দশক এবং নব্বই
এর দশকে যারা কিশোরগঞ্জের নামকরণ নিয়ে
মতামত করেছেন তাদের মতামত গুলো আমরা
সবার জন্য তুলে ধরলাম।
কিশোরগঞ্জের প্রবীণ সাংবাদিক এবং লোক
সাহিত্য সাংগ্রাহক সাহিত্যিক, গভেষক মোহাম্মদ
সাইদুর কিশোরগঞ্জ ৭৭ প্রদর্শনীতে
স্মরণিকায় প্রকাশিত তার এক লেখায় উল্লেখ
করেন যে, কিশোরগঞ্জ নামকরণ সম্পর্কে
আজ পর্যন্ত তেমন কোন
উল্লেখযোগ্য সূত্র বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে বিজ্ঞ জনদের ধারণা ও জনশ্রুতি
থেকে অনুমান করা যায় যে, বর্তমানে
ধ্বংসপ্রাপ্ত ‌বত্রিশ প্রামাণিক পরিবারের
প্রতিষ্ঠাতা কৃষ্ণদাস প্রমানিকের ষষ্ঠ
ছেলে এবং প্রামাণিতের একুশ রত্নের
স্রষ্ঠা ও বিশেষ প্রভাবশালী পুরুষ নন্দ
কিশোর প্রামাণিকের নাম থেকেই নন্দ
কিশোররের “কিশোর” এবং তারই প্রতিষ্ঠিত
স্থানীয় হাট বা গঞ্জের থেকে “গঞ্জ” যোগ
হয়ে কিশোরগঞ্জের নামকরণ হয়েছে।
১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে
প্রাত্ত্বন সিএসপি নুরুল ইসলাম খান সম্পাদিত
Bangladesh District Gazetteers, Mymensingh
প্রকাশিত হয়। এ গেজেটয়ারে কিশোরগঞ্জ নাম
সম্পকে মন্তব্য করা হয় যে, The town was
noted for the manufacture of muslim cloth and
east india company had an indigo factory here.
One Krishna Das came to settle at Kishoreganj
and became a dealer in Muslin cloth, Krisna Das
is said to have presented beautiful Muslin cloth to
Nowab Sirajdowla which brought him the land
lordship of Batrish patgana and the titel of
pramanik. The village batrish in kishoreganj still
bears testimony to the facts. Ome of the seven
sons of krisna Das was Braja Kishore Pramanik,
after whose name probably the town was named.
কিশোরগঞ্জের ইতিহাস গ্রন্থে
মুক্তাগাছার জমিদারের নামের সাথে “কিশোর”
যোগ হতে দেখা যায়। সে থেকেও
কিশোরগঞ্জের নামকরণের কথা কেউ কেউ
বলে থাকেন। কিন্তা তা সঠিক নয়, কারণ এলাকাটি
তাদের জমিদারের অন্র্তগত ছিলো না।
কবি আজহারুল ইসলাম “কিশোয়ার খাঁ” নাম থেকেও
কিশোরগঞ্জ নাম হতে পারে বলে মন্তব্য
করেছেন।
তাছাড়া অন্যান্য আরো মতোবাদ গুলো নিচে
তুলে ধরলাম :
সাজেদুল হক, হাসনা আরা , রওশন আরা খনম লেখা সখিনা
মদিনা মহুয়া মলূয়ার দেশ নামক গ্রন্থে
কিশোরগঞ্জ নামটি নন্দ কিশোর প্রামানিকের
নামেকী না মর্মে মন্তব করতে গিয়ে
লেখেন মোহাম্মদ সাইদুর সাহেব নন্দ কিশোর
প্রামানিকের সমকাল দিয়েছেন ১৭৫০-১৮১০
খ্রিষ্টাব্দ । কিন্তু পিতা কৃষ্ণদাস
তৎপুত্র নন্দ কিশোর প্রামানিককে তাঁর
উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের নিমিত্ত কর্মকান্ত
নির্বাহের জন্য দলিল মূলে দায়াদায়িত্ব অর্পন
১৭৫৯ খ্রিষ্টাব্দে । এর ফলে নন্দ
কিশোর প্রামানিকের দলিল সম্পাদনের সময় বয়স দাঁড়ায়
মাত্র নয়/দশ বৎসরে এবং তাদের নির্মিত সৌধমালা
সপ্তম? সপ্তদশ শতাব্দীর বলে উল্লেখ
করেন । ( কিশোরগঞ্জ-৭৭ প্রদর্শণী
স্মরণিতা সংখ্যা বত্রিশ প্রামানিক বাড়ী প্রসঙ্গ
দ্রষ্টব্য ) । তারিখ গুলো কাজেই সঠিক মনে
হয় না । এ যাবৎ প্রাপ্ত মতামতগুলোর
বিশ্লেষণে গেলে দেখে যাবে (১)
আন্দ কিশোর (২) বজ্র কিশোর (৩) কিশোরী
মোহন নাথ (৪) জগৎ কিশোর আচায্য, ভবানী
কিশোর আচায্য কিশোর ইত্যদির কিশোর অংশ
(৫) কিশোয়ার খাঁ (মোগল সেনাপতি যিনি এগার সিন্ধু
থেকে রওয়ানা হয়ে সিলেটের ডোলম্বপুরে
খাজা ওসমানের সাথে যুদ্ধ করেত গিয়ে মারা যান ) ।
জইনশাহী ( এ নামটি মুছে ফেলে হয়েছে বলে
মন্তব্য কার হয়েছে ) । ইত্যাদির উদাহরণ
থেকে নামটির উৎপত্তির হয়েছে বলে
বিজ্ঞ মতামত দানকারীগন উল্লেখ করেছেন ।
উল্লিখিত মতামতগুলোর মধ্যে আনন্দ
কিশোর নাস তেথে কিশোরগঞ্জ নামক হওয়ার
মতটি বেশি বেশি লেখা ও প্রচারিত হয়েছে ।
উল্লিখিত সবগুলো মতামতেই কিশোরগঞ্জ
নামটির ‘কিশোর’ অংশটির সাথে নামের সাজুষ্য
আবিষ্কার করে সকলেই তাদের মত প্রকাশ
করেছেন । ফলে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত
আরো আসতে পারে । মোহাম্মদ সাইদুর তার
লেখায় প্রমাণিক পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা কৃষ্ণ
চন্দ্র দাসের পক্ষ থেকে দাস বরাবর একটি দলিল
লিখে দেন বলে উল্লেখ করেন । তিনি
দলিলের যে নকল কিশোরগঞ্জ ৭৭
প্রদর্শনী স্মরণিকায় এবং কিশোরগঞ্জের
ইতিহাস গ্রন্থে পেশ করেছেন সেখানে তার
প্রস্তাবিত নন্দ কিশোর প্রমাণিক নামটিই নেই ।
দলিলের নকলে নন্দ কুমার দাশ রয়েছে ।
কাজেই মূল নামটিতেই যেহেতু কিশোর
শব্দটি নেই সেখানে নামের সাজুয্যই হয় না ।
অন্যদিকে নামটি কিশোর যুক্ত হলেই যে
তার নামেই কিশোরগঞ্জ নাম করন হয়েছে
এমনটি অনুমান করাও বিজ্ঞানসম্মত নয় । জেলা
গেজেটিয়ারে ব্রজ কিশোর নাম থেকে নাম
হবার যে কথা বলা ‍হয়েছে সেটিও নামের
সাজুয্যে কেবলমাত্র একটি ধারনা । অবশ্য
এক্ষেত্রে কিশোরকথাটি নামের মধ্যে
আছে । অন্যদিকে একজন কর্মচারী কিশোরী
মোহন নাথ মহকুমার প্রতিষ্ঠার সময় সরকারি দায়িদায়ীত্ব
পালনে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার পরিচয় দেয়ার তার নাম
থেকে কিশোরীর দীঘ ঈ-কার ফেলে দিয়ে
কিশোর বানিয়ে সেটি দিয়ে মহকুমার নামকরণ কোন
বিচারেই গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা । আবার
কিশোয়ার খাঁ, নাম থেকে কিশোরগঞ্জ বা
কিশোরগঞ্জ নামকরণের চিন্তাটিও আগের
চিন্তাগুলো মতোই নেহায়েৎ নাম আগে কি
ছিল তা বলেননি । অপরদিকে জইনশাহী নামটির সাথে
কিশোরগঞ্জ নামের কোন সম্পর্ক রয়েছে
কি না তাও তিনি বলেননি । ফলে তার প্রসঙ্গটি
আলোচ্য ক্ষেত্রে খুব প্রাসঙ্গিক নয় ।
এছাড়া প্রথম মতটিসহ বেশ কয়টি মতেরই সময়কালের
সাথে যদি কিশোরগঞ্জ নামকরণের সময়কালের
পার্থক্য আবিষ্কার করতে যায় তাহলে দেখা
যাবে কিশোরগঞ্জ নামকরণ হয়েছে ( এযাবৎ
প্রাপ্ত তথ্য মতে ) ১৮৬০ সালে শ্যী নন্দ
কুমার দাসকে শ্রী কৃষ্ণদাস দলিল প্রদান করেন
১১৬৫ বাঙ্গালা সনে যা ইংরেজি ১৭৬০ সালে হয় ।
বজ্র কিশোর ও সমসাময়িককালের । আবার কিশোয়ার
খাঁর মৃত্যু ১৬১২ সালে । কাজেই অহেতুক
কারোর নামের অংশ বিশেষের সাথে মিল
আবিষ্কার করে ইতিহাস-ঐতিহ্যের
রত্নভান্ডাররূপে খ্যাত একটি স্থানে
মহকুমা সদর স্থাপনের সময় খামখেয়লীপনার বশে এরকম
নামকরণ করা হয়েছে তা কল্পনা কারা যায় না । স্থান নাম
বিদ্যার পদ্বতি বিশ্লেষণে গেলেও তা
গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয় না।
এ এলাকার মধ্যে মধ্যেযুগে জনপ্রিয়
পরিচিত নাম ছিল এগারসিন্দুর । এরপর ঈসা খানমসদন-ই-
আলার দ্বিতীয় রাজধানী খ্যাত জঙ্গলবাড়ীর নামও
প্রচীন। এরপর বর্তমান কিশোরগঞ্জ শহর
এলাকায় প্রথম নগর বা শহর স্থাপন করেন ঈসা খার ৫ম
অধস্তন প্ররুষ হয়বৎখান । ১৭০০ সালে
হয়বৎখানকে প্রদত্ত বাদশাহীর ফরমানে নাওয়ারা বা
বরদাখাত মহালেরর খাজনা ধার্য করে দিতে দেখা যায়
। ১৭৬৪ সালে জরিপ বিদ জেমস রেনেল
এদেশের মানচিত্র নির্মাণের কাজে নিয়োজিত
হন । ১৭৬৪-১৭৭৭ পর্যন্ত সময় কালে তা তৈরি
মানচিত্রে বর্তমান কিশোরগঞ্জ শহর এলাকাটির
নাম দেখা যায় হয়বৎনগর । কাজেই কিশোরগঞ্জ
নামটির সাক্ষাৎপূর্ব নাম হয়বৎনগর ছিল এ কথাটি আমারা
জানতে পারলাম । ডঃ সুকুমার সেন তার বাংলা
স্থান নাম গ্রন্থে নগর শব্দের বিশ্লেষন
করেছেন প্রাচীনকালে নগর বলতে পাথর বা
ইটের তৈরি গ্রহসংবলিত ধনী অথবা দেবতা
অধীষ্ঠিত প্রাচীর ঘেড়া গ্রামকেই বোঝায় । তার
এ বিশ্লেষণ এর আলোকে হয়বৎ খাঁনের
প্রাচীর ঘেরা হাবেলী মসজিদ আখড়া ইত্যাদি
স্থাপনের মাধ্যমে একটি সত্যইকারের নগরই
স্থাপন করে ছিলেন । ‍হয়বৎ খানের কীর্তি
হিসেবে তাই এর নামকরন হয়বৎনগর যুক্তিযুক্ত
এবং ইতিহাস সিদ্ধ। হয়বৎনগরকে কেন্দ্র কারে
পাশে নতুন জনবসতি , মুসলিন তৈরির ফ্যাক্টরি
ইত্যাদি প্রতিষ্ঠিত হয় । এ জন্যই হয়বৎনগরের
পাশে গ্রামটির নামকরণ হয় ‘নওগাঁও’ বা নতুন
গ্রাম । এ ফার্সী শব্দটির উচ্চারণ বর্তমানে
কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে স্থানটি উচ্চারণে নগুয়া
এবং কাগজপত্রে নগুয়া নাম ধারণ করেছে ।
আবার এর পাশে আরও নতুন গ্রাম গড়ে উঠা
আঁটি বা বসতির নাম হয়েছে বিন আটি । বিন নওগাঁও
এবং বিন আটি ফার্সি নামগুলো বর্তমানে
বিনগাঁও এবং বিন্নাটী নাম ধারণ করেছে ।
এভাবেই ঐতিহ্যিক ধারায় নতুন জনপদ গড়ে ওঠার
ফলে নও বা নতুন অর্থে বর্ধিষ্ঞু
অঞ্চলে নাম গড়ে ওঠে । আজও শহরের
নতুন এলাকাকে নিউটাউন বলে ডাকার রেওয়াজ
চালু হয়েছে । ১৮৬০ সালের পূর্বেই হয়বৎনগর
নামক নগরটি নানভাবে বড় হয়ে একটি পৌর শহরের
রূপ নেয় । ঈসা খানের অন্য এক অধস্তন
বাজিতপুরে বসতি স্থাপন করায় সেখানেও একটি শহর
গড়ে উঠে । ফলে ১৮৬৪ সালে উভয় শহরেই
পৌরসভা ঘোষিত হয় । কিশোরগঞ্জ মহকুমা
স্থাপন কালে এ এলাকা শহর নাম যে হয়বৎনগর নামে
ব্যাপকভাবে পরিচিত ও জনপ্রিয় ছিল তার বহু
প্রমান মেলে । এমনকি ১৮৬০ সালে মহকুমা
স্থাপনের পরও এ এলাকার নাম হয়বৎনগর লেখার
প্রমাণ মেলে ।
১৯৬৮ সালে প্রকাশিত কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত
পুঁথিকার মুন্সী আজিমুদ্দিনের লেখা
খোলাছা তোল মারেফাত গ্রন্থে মুন্সি
সাহেব তাহার পরিচয় জ্ঞাপক পর্যায়ে লেখেন-
“হয়বৎনগর জঙ্গলবাড়ী মশহুর সে স্থান । পুছিলে
সেখানে পাবে আমার সন্ধান । মুন্সী সাহেব ১৯২২
সালে মৃত্যুবরণ করেন এবং তার রচিত ৪৫টি
পুঁথির কোনটিতেই কিশোরগঞ্জ নামটি
ব্যবহার করেননি। হয়বৎনগর নামটিকে মহকুমা করার
সময় নামকরণ না করার কারনেই সম্ভবত তিনি তার লেখায়
কিশোরগঞ্জ শব্দটি ব্যবহার থেকে বিরত
থেকেছেন । প্রমাণ হিসেবে ১৮৬৮ সালেও
তিনি হয়বৎনগর জঙ্গলবাড়ী লিখে নিজের এলাকার
পারিচয় দেওয়াকে উদাহারন হিসেবে গ্রহণ করা যায় ।
কিশোরগঞ্জ শহর নদীর অপর পাড়ে বিস্তৃতির সময়
এখানে যে গঞ্জ শহর বা বাজার সৃস্টি হয় তা
কিশোরগঞ্জ বা নতুন বাজার নামে পরিচিত হওয়া
খুবেই স্বাভাবিক । কিন্তু কিশোর বা কিশোয়ার
শব্দটির এ অর্থের দিকে না গিয়ে কেবলই
কোন ব্যক্তি নামের সাথে এর মিল
আবিষ্কারের চেষ্টাই এতদিন করেছি। বাংলা
ভাষায় কিশোর শব্দটির অর্থ যেমন নতুন
তেমনি উর্দু, হিন্দি ইত্যাদি ভাষারও এটি নবীন
নতুন ইত্যাদি অর্থেই ব্যবহৃত হয় ।
অন্যদিকে ফার্সি ভাষায় কিশওয়ার (কাফ শিন ওয়া রে )
শব্দের অর্থ -মুলুক দেশ অঞ্চল এলাকা
ইত্যাদি । (দ্রঃ লুগাতে কিশওয়ারী ১৯২৩ ঈসভী
নওল কিশোর প্রেস লক্ষৌ হিন্দুস্থান ) ।
কাজেই একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের সীমানা
চিন্হিতকরে নতুন একটি মহকুমা গঠনের সময় এর
নাম কিশোরগঞ্জ রাখাও খুবই স্বাভাবিক ।
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো যে শব্দটি
ব্যক্তির নামের চেয়ে আমার ব্যাখ্যায়
প্রদত্ত অর্থগত দিক বিবেচনায় রাখার লক্ষে
এ যুক্তিও যোগ কারা যায় যে নামটি
বাংলাদেশের অন্যান্য স্তানেও রয়েছে ।
যেমন বৃহত্তর রংপুরের নীলফামারী জেলার
কিশোরগঞ্জ ইত্যাদি । ঐসব নাম গুলোর
কিশোর ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত।
কিশোরগঞ্জ শব্দটির আরও একটি অর্থ করা
হয়েছে ইকলিম (অঞ্চল) এবং সাম অঞ্চল
বোঝানোর চেষ্টা কারা হয়েছে ।
এক্ষেত্রে ময়মনসিংহ জেলা প্রতিষ্ঠার সময়
যেমন জেলার ‘মমিনশাহী” পরগনা থেকে বেশি
খাজনা আদায়ের কারণে এর নাম রাখা হয় মনিমশাহী টিক
তেমনি কিশোরগঞ্জ নামক নতুন অঞ্চলটির
মধ্যে ঐ সময় মোট ৭টি পরগনা ছিল । এ ৭টি পরগনা
হলো- (১) হোসেনশাহী (২) জোয়ার হোসেনপুর
(৩) নাসিরাজিয়াল (৪) হাজরাদী (৫) কুড়িখাই (৬) জোয়ারশাহী (৭)
বরদাখাত । কাজেই আমরা এ সিদ্ধান্তে আসতে পারি
যে কিশেরগঞ্জ নামটি শহরের বর্ধিঞু
নতুন একটি বাজার অর্থে নাম করণ হয়েছে ।
কারণ গোটা নামটির গঞ্জ অংশটি যেমন ফার্সি
তেমনি প্রথম অংশ কিশোওয়ার ও ফার্সী হওয়াই
স্বাভাবিক ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর